ইডফার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে কামার আহমাদ সাইমনের ‘অন্যদিন...’
বিশ্বের বৃহত্তম প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি ফিল্মফেস্টিভ্যাল আমস্টারডামের (ইডফা) আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে কামার আহমাদ সাইমনের ‘অন্যদিন...’। সোমবার আমস্টারডামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ইডফার উৎসব পরিচালক অরওয়া নাইরাবিয়া। উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য কামার আহমাদ সাইমন ও প্রযোজক সারা আফরীনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
২০ নভেম্বর রাত নয়টায় আমস্টারডামের তুসানস্কি থিয়েটারে ‘অন্যদিন...’-এর বিশ্ব অভিষেক হবে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে এ বছর ‘অন্যদিন...’ ছাড়াও পুরস্কারের দৌড়ে আছে ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, আর্জেন্টিনা, পর্তুগালসহ মোট ২১টি দেশের ১৪টি ছবি।
ইউক্রেনীয় নির্মাতা সার্গেই লজনিতসা, পর্তুগিজ নির্মাতা সুজানা ডি সুজা ডিয়াজ, রুশ নির্মাতা আলিওনা ভন দার হোস্টের মতো আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত নির্মাতাদের নতুন সব ছবির সঙ্গে লড়াই করবে কামারের ছবি।
২৫ তারিখ একটি আড়ম্বরপূর্ণ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
নন–ফিকশন ছবির জন্য দুনিয়াজোড়া খ্যাত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ইডফা। ১২ দিনের এ উৎসবে তিন শতাধিক ছবি দেখানো হয়ে থাকে, টিকিট কেটে ছবি দেখতে আসেন আড়াই লক্ষাধিক দর্শক।
কামার আহমাদ সাইমনের জলত্রয়ীর (ওয়াটার ট্রিলজি) দ্বিতীয় ছবি ‘অন্যদিন...’। জলত্রয়ীর প্রথম ছবি ‘শুনতে কি পাও’।
বাংলাদেশ, ফ্রান্স ও নরওয়ের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘অন্যদিন...’-এর চিত্রনাট্যের জন্যই ২০১৬ সালে বিশ্ব চলচ্চিত্র মঞ্চ পিয়াৎজা গ্রান্দার রেড কার্পেট ডিরেক্টরের সম্মাননা পেয়েছিলেন কামার; সেই সঙ্গে জেতেন লোকার্নোর ওপেন ডোর্সের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার এবং আর্তে ইন্টারন্যশনাল প্রাইজ। পরের বছর এই একই চিত্রনাট্যের জন্য কান চলচ্চিত্র উৎসবের সিনেফন্ডেশনের লা’এতেলিয়ারে নিমন্ত্রণ পান কামার।
কামার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ‘“অন্যদিন...” একটি হাইব্রিড ছবি। জুলাইয়ে সম্পাদনা শেষ করেই ইডফায় জমা দিয়েছিলাম। প্রথম জমাতেই বৃহত্তম একটি ফেস্টিভ্যালে আমন্ত্রণ পেলাম, টপ টেন লিস্টেড ফেস্টিভ্যালের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ছবি নির্বাচিত হলো, দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ থিয়েটারে বিশ্ব অভিষেকের দাওয়াত পেলাম, একটি ছবির জন্য আর কি চাই!’
এ খবরে ছবিটির প্রযোজক সারা আফরীন বলেন, ‘ইডফার মতো একটা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার মেইল পেয়ে চোখে পানি চলে এসেছিল।’