৬৪তম বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘অফিশিয়াল সিলেকশন’ পেয়েছে সুমিতের এই ফিচার ফিল্ম। এই বছর সারা বিশ্ব থেকে মাত্র ৫৮টি ছবিকে স্থান দেওয়া হয়েছে ‘ফিচার ফিল্ম স্ট্র্যান্ডস’ বিভাগে। আগামী ৭ থেকে ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বিশ্বের প্রথম সারির চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর একটি।
দেশের বাইরে থেকে একের পর এক সুখবর নিয়ে আসছে রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের প্রথম চলচ্চিত্র ‘নোনা জলের কাব্য’। তবে এবারেরটা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড়। স্বাধীন ধারার নির্মাতাদের জন্য এই খবর হতে পারে দারুণ অনুপ্রেরণার। ৬৪তম বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘অফিশিয়াল সিলেকশন’ পেয়েছে সুমিতের এই ফিচার ফিল্ম। এই বছর সারা বিশ্ব থেকে মাত্র ৫৮টি ছবিকে স্থান দেওয়া হয়েছে ‘ফিচার ফিল্ম স্ট্র্যান্ডস’ বিভাগে। আগামী ৭ থেকে ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বিশ্বের প্রথম সারির চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর একটি।
‘বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মতো উৎসবগুলোতে স্বাভাবিক সময়ে সোয়া এক লাখ থেকে দেড় লাখ মানুষের সমাগম হয়। আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও ফিল্মসংশ্লিষ্ট বিশ্বের সেরা মানুষগুলোর নজর থাকে এই উৎসবগুলোতে।’
পরিচালকের কাছে অনুভূতি জানতে চাইলে উচ্ছ্বসিত গলায় বললেন, ‘প্রথমত, এটি আমার প্রথম ছবি। পাঁচ বছর ধরে ছবিটি বানিয়েছি। আর করোনার কারণে ফেস্টিভ্যালগুলোতে কমসংখ্যক ছবি নিচ্ছে। বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মতো উৎসবগুলোতে স্বাভাবিক সময়ে সোয়া এক লাখ থেকে দেড় লাখ মানুষের সমাগম হয়। আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও ফিল্মসংশ্লিষ্ট বিশ্বের সেরা মানুষগুলোর নজর থাকে এই উৎসবগুলোতে। সব মিলিয়ে আমি দারুণ খুশি।’
জেলেপাড়ার জীবন নিয়ে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া, তাসনুভা তামান্না, অশোক ব্যাপারী, আমিনুর রহমানসহ অনেকে।
এই নির্মাতা আরও জানান, ২০২১ সালে বাংলাদেশের দর্শক দেখতে পাবে অসংখ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া ছবিটি। জেলেপাড়ার জীবন নিয়ে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া, তাসনুভা তামান্না, অশোক ব্যাপারী, আমিনুর রহমানসহ অনেকে।
এবারের ফেস্টিভ্যাল শুরু হবে ‘টুয়েলভ ইয়ারস আ স্লেভ’খ্যাত পরিচালক স্টিভ ম্যাককুইনের ছবি ‘ম্যানগ্রোভ’ দিয়ে। শেষ হবে কেট উইন্সলেট অভিনীত ‘অ্যামোনাইট’ দিয়ে। স্বল্প পরিসরে লন্ডনে ও অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে এই উৎসব।
‘নোনা জলের কাব্য’–এর চিত্রনাট্য লেখা ও সরেজমিন গবেষণা চলেছে চার বছর ধরে। চিত্রনাট্যের জন্য এই ছবি পেয়েছিল ‘স্পাইক লি রাইটিং গ্রান্ট’। ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই অর্ধশতাধিক শিল্পী ও কলাকুশলী মিলে ঘোর বর্ষায় পটুয়াখালী ও চট্টগ্রামে শুটিং শুরু হয়ে শেষ হয় অক্টোবরের ৩ তারিখে। ছবির সংগীতায়োজন করেছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব। প্রযোজক ও কলাকুশলীদের অনেকেই ভিনদেশি।
এই ছবি সরকারি অনুদান পেয়েছিল ৫০ লাখ টাকা। আরও প্রায় ৭৫ লাখ টাকা এসেছিল ফরাসি প্রযোজক ইলানের মাধ্যমে। সম্প্রতি টরিনো ফিল্ম ল্যাব অডিয়েন্স ডিজাইন ফান্ড–২০২০ জিতেছে এই ছবি। এর অধীনে সুমিত তাঁর চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পেয়েছেন ৪৫ হাজার ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৫ লাখ টাকার সমান।
এই ছবি সরকারি অনুদান পেয়েছিল ৫০ লাখ টাকা। আরও প্রায় ৭৫ লাখ টাকা এসেছিল ফরাসি প্রযোজক ইলানের মাধ্যমে। সম্প্রতি টরিনো ফিল্ম ল্যাব অডিয়েন্স ডিজাইন ফান্ড–২০২০ জিতেছে এই ছবি। এর অধীনে সুমিত তাঁর চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পেয়েছেন ৪৫ হাজার ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৫ লাখ টাকার সমান। এ ছাড়া অনলাইনে ছয় দিনের একটি কর্মশালায়ও অংশ নেবেন তিনি। আর নভেম্বরে টিএফএল কো–প্রোডাকশন মার্কেটে ছবিটি পিচ করারও সুযোগ পাবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ছবিটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান হাফ স্টপ ডাউন। সম্পাদনা করেছেন রোমানিয়ার লুইজা পারভ্যু ও ভারতের শঙ্খজিৎ বিশ্বাস। শব্দ ও রং সম্পাদনার কাজটি হয়েছিল ফ্রান্সের দুটি বিখ্যাত স্টুডিওতে। যেখানে ডিজনির ছবিরও সম্পাদনা হয়।