আদালতের রায় শুনে যা বললেন নিপুণ–জায়েদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে নিপুণ আক্তারের করা শুনানি নিয়ে আজ রোববার চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আবেদনটি চার এপ্রিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। এ রায়ের পর প্রথম আলোকে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নিপুণ ও জায়েদ খান।
এই রায়ে খুশি চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার বলেন, ‘আমি অনেক খুশি হয়েছি। এ জন্য আমার শ্রদ্ধেয় আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা এই রায়ের জন্য অনেক স্টাডি করেছেন, কষ্ট করেছেন।’ নিপুণ আরও বলেন, ‘আমার ওই পদের চেয়ারের প্রতি কোনো মোহ নেই। চলচ্চিত্রের শিল্পীদের সঙ্গে থেকে আমি এই শিল্পী সমিতিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই। এই শিল্পী সমিতি হবে সত্যিকারের শিল্পীদের জন্য।’
গত ৫ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ড। এফডিসিতে সভা করে সেই ঘোষণা দেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। নির্বাচনী আচরণবিধি না মানায় তখন জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল করা হয়। তাঁর পরিবর্তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণ এ পদে জয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। তার পর থেকে কয়েক দফা ওই পদ নিয়ে শুরু হয় আইনি লড়াই। জটিলতার নিষ্পত্তির দায়িত্ব চলে যায় উচ্চ আদালতে। বেশ কয়েকবার শুনানি পেছানোর পর আদালত জায়েদ খানকে স্বপদে বহাল রাখেন।
পরে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে ২ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। ফলে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধতা পায়। হাইকোর্টের এ আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে পরদিন ৩ মার্চ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন নিপুণ আক্তার, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে এবং জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন চেম্বার আদালতে।
এই রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘আমার পক্ষে আগের যে রায় ছিল, সেটি চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত।
আগামী ৪ এপ্রিল এটি পূর্ণাঙ্গ কোর্টে শুনানি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন মহামান্য আদালত। তবে আইনজীবীর কাছ থেকে জেনেছি, কোর্ট আমাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন।’