ঢালিউড
‘অচল’ এফডিসিকে ‘সচল’ করার মন্ত্র
সমিতিতে সয়লাব এফডিসিতে অন্য কথার চেয়ে বেশি শোনা যাক 'অ্যাকশন–কাট'–এর কথা—এটাই এখন দাবি অভিনয়শিল্পীদের। কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান অনেকেই।
১৫ আগস্ট শাকিব খান ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে এফডিসির কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর প্রত্যাশা কী? শাকিব বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি একটা পয়সাও চাই না। কোনো অর্থনৈতিক সহায়তা চাই না। আমার অন্য কারও কাছে কিছু চাওয়ার নেই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এফডিসি এখন কোমায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটাই চাওয়া, তিনি যেন কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে দেন। বাকিটা আমরাই ঠিক করব। গুটিকয়েক মানুষের নোংরা রাজনীতির কারণে প্রকৃত শিল্পীরা আজ কোণঠাসা।'
এফডিসি এখন কোমায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটাই চাওয়া, তিনি যেন কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে দেন। বাকিটা আমরাই ঠিক করব। গুটিকয়েক মানুষের নোংরা রাজনীতির কারণে প্রকৃত শিল্পীরা আজ কোণঠাসা।শাকিব খান, অভিনেতা
এই 'গুটিকয়েক' মানুষের নাম জানতে চাইলে শাকিব কৌশলে জবাব দেন, 'নাম না বলেই ঘরে থাকতে পারছি না। আর নামগুলোও তো বলার কিছু নেই। সবাই জানে।' আরেক ঢালিউড অভিনেতা আরিফিন শুভ কোনো একটি সমাধানের দিকে না তাকিয়ে জোর দিলেন সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর। তবে সবার ওপরে রাখলেন সরকারের হস্তক্ষেপকে। তিনি বললেন, 'এটা কোনো রকেট সায়েন্স না। চোখ মেলে তাকালেই বোঝা যাবে সমস্যা কী, আর সমাধান কোথায়। হলসংকট আগে থেকেই ছিল। করোনাকালে সেটা চূড়ান্তে পৌঁছেছে। এই মুহূর্তে সরকারের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আছে। কেননা, হল না বাঁচলে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি থাকবে না। তাই হলকে পুনরুজ্জীবিত করার কোনো বিকল্প নেই। চলচ্চিত্র কেবল একটা পক্ষের ব্যাপার নয়। আমাদের সবাইকে প্রতিশ্রুতিশীল হতে হবে। নতুন অভিনয়শিল্পী, প্রযোজক, পরিচালকের সঙ্গে নতুন গল্পগুলো তুলে ধরতে হবে। কারণ, নতুনেরা বেরিয়ে না এলে চলচ্চিত্রশিল্প বা ইন্ডাস্ট্রি কোনোটাই এগোবে না। কোথাও পৌঁছানোর প্রশ্নই আসে না।'
নতুন প্রজন্মের তারকা বিদ্যা সিনহা মিম অবশ্য বিশ্বাস রাখলেন পুরোনো টোটকায়। 'দশে মিলে করি কাজ'—এই মূলমন্ত্রই ঝরে পড়ল তাঁর বক্তব্যে। কিছুটা দুঃখ নিয়ে বললেন, 'এঁর সঙ্গে ওঁর ঝামেলা। ওঁর সঙ্গে তাঁর ঝামেলা। এগুলো করে আমরা কেউই কিন্তু ভালো নেই। শপিং মল, পরিবহন—সবকিছুই কিন্তু ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সিনেমা হল বন্ধ। এফডিসিও চলছে হাঁটি হাঁটি পা পা করে। আমাদের আপাতত সব বিভেদ ভুলে কেবল কাজে মনোযোগ দিতে হবে।'
নয়বার জাতীয় পুরস্কারজয়ী নায়ক আলমগীর বললেন অনেকটা সূত্রের ছকে ফেলে, 'এখন আগের চেয়ে কাজ অনেক কম হচ্ছে। অলস মস্তিষ্ক বেড়ে গেছে। ফলে যে গুটিকয়েক মানুষ কাজ করার চেষ্টা করছে, সবাই মিলে তাঁদের বিরক্ত করছে। অথচ হওয়ার কথা ছিল উল্টোটা। যারা কাজ করছে, তাদের অনুপ্রেরণা দিলে অন্যরাও এগিয়ে আসত। এমনিতেই চিত্রটা বদলে যেত। মোদ্দা কথা হচ্ছে, প্রযোজক বিনিয়োগ করবে, শিল্পীরা পরিচালকের নির্দেশনামতো কাজ করবে। যার যেটা কাজ, তাকে সেই কাজ করতে হবে।'
অলস মস্তিষ্ক বেড়ে গেছে। ফলে যে গুটিকয়েক মানুষ কাজ করার চেষ্টা করছে, সবাই মিলে তাঁদের বিরক্ত করছে। অথচ হওয়ার কথা ছিল উল্টোটা। যারা কাজ করছে, তাদের অনুপ্রেরণা দিলে অন্যরাও এগিয়ে আসত।
সমিতিতে সয়লাব এফডিসিতে অন্য কথার চেয়ে বেশি শোনা যাক 'অ্যাকশন–কাট'–এর কথা—এটাই এখন দাবি অভিনয়শিল্পীদের। কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান অনেকেই।