অনন্ত জলিল ও জায়েদ খান ছবিপ্রতি কত টাকা পান

অনন্ত জলিল ও জায়েদ খানকোলাজ

ঢালিউড তারকাদের মধ্যে ছবিপ্রতি কেউ পাচ্ছেন ৩–৫ লাখ টাকা, কেউবা ১৫ থেকে ২০ লাখ, আবার ২৫ লাখ টাকাও নিচ্ছেন কেউ। শুধু একজনই দর হাঁকাচ্ছেন কোটি টাকার বেশি, তিনি শাকিব খান। তারকা, পরিচালক, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ঢালিউডের শীর্ষ নায়কদের পারিশ্রমিকের এ তথ্য পাওয়া গেছে। এই প্রতিবেদন থেকে অনন্ত জলিল ও জায়েদ খান ছবিপ্রতি কত টাকা পারিশ্রমিক পান, তা জানার চেষ্টা করব।

অনন্ত জলিল
ছবি : অনন্তর ফেসবুক থেকে

অনন্ত জলিল

গার্মেন্টস ব্যবসায়ী থেকে একটা সময় চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন অনন্ত জলিল। নিজের প্রযোজিত ছবিতে নিজেই নায়ক হন। প্রথম ছবি ‘খোঁজ–দ্য সার্চ’ ২০১০ সালে মুক্তি পায়। গত ১৫ বছর মাত্র আটটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত দুটি ছবি নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া রয়েছে। কথা প্রসঙ্গে কয়েক বছর আগে প্রথম আলোর কাছে অন্তত জলিল দাবি করেছিলেন, নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বাইরে ছবিপ্রতি তাঁর দর উঠেছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। কিন্তু এক কোটি না হলে কিছুতেই অন্য কারও ছবিতে অভিনয়ে রাজি হবেন না তিনি।

আরও পড়ুন

‘খোঁজ–দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটা অনন্তর সব কটি ছবিরই প্রযোজক তিনি নিজেই। ছবিপ্রতি তাঁর সম্মানী কত ধরা হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো ছবিতে এখন পর্যন্ত কোনো পারিশ্রমিক ধরিনি। বিষয়টি নিয়ে আমি আসলে ভাবিনি। তবে দর্শকের কাছে আমার জনপ্রিয়তার কারণে কিছু নির্মাতা আমাকে দিয়ে ছবি নির্মাণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাঁদের আমি সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছি, যদি এক কোটি টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, তাহলে আমি ছবিতে অভিনয় করতে রাজি আছি।’ তাঁদের কেউ কেউ অবশ্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দিতে রাজি হয়েছিলেন বলেই অনন্ত জানান। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বাইরে অনন্ত জলিল একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন, নাম ‘কিল হিম’। ছবির মহরতের দিন সবার সামনে ঘোষণা দেওয়া হয়, ‘কিল হিম’–এ অভিনয়ের জন্য নায়ক অনন্ত জলিল পারিশ্রমিক হিসেবে নেবেন ৪০ লাখ টাকা। মহরত অনুষ্ঠানে অনন্তর হাতে সাইনিং মানি বাবদ সেদিন ২০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রযোজক ও পরিচালক।

জায়েদ খান
ছবি : জায়েদের ফেসবুক থেকে

জায়েদ খান

চলচ্চিত্রে নায়ক হওয়ার আশায় পিরোজপুরের ছেলে জায়েদ খান অংশ নেন এফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমে। ভাগ্যক্রমে সুযোগটাও পেয়ে যান তিনি। এই সুযোগ করে দেন পিরোজপুরেরই এক প্রযোজক। ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ নামের সেই ছবি পরিচালনা করেন মোহাম্মদ হান্নান। শুরু হয় জায়েদ খানের চলচ্চিত্রে যাত্রা। ২০০৬ সালে ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ ছবিটি মুক্তি পায়। প্রথম ছবি মুক্তির আগেই ‘জমিদারবাড়ির মেয়ে’ ও ‘পাপের প্রায়শ্চিত্ত’ নামে আরও দুটি ছবিতে কাজের সুযোগ পান তিনি। এরপর ‘মন ছুঁয়েছে মন’, ‘আত্মগোপন’, ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’, ‘তোকে ভালোবাসতেই হবে’, ‘অদৃশ্য শত্রু’, ‘কাছের মানুষ’, ‘প্রেম করব তোমার সঙ্গে’, ‘নাগ–নাগিনের স্বপ্ন’, ‘নগর মাস্তান’, ‘অন্তর জ্বালা’, ‘প্রতিশোধের আগুন’, ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ ও ‘সোনার চর’ ছবিতে অভিনয় করেন।

আরও পড়ুন

জনপ্রিয়তার দৌড়ে খুব বেশি পিছিয়ে না থাকলেও পারিশ্রমিকের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে জায়েদ খান। প্রথম ছবিতে তাঁর পারিশ্রমিক কত, তা জানা না গেলেও ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া দ্বিতীয় ছবি ‘কাজের মানুষ’–এ অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন এক থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে, এমনটাই জানিয়েছেন ছবি–সংশ্লিষ্টরা। ‘কাজের মানুষ’ ছবির ঠিক পাঁচ বছর পর একই পরিচালকের আরেকটি ছবিতে অভিনয় করেন জায়েদ, যেটিতে তাঁর পারিশ্রমিক একই অঙ্কের ঘরে ছিল। ঢালিউডের আলোচিত এই নায়কের মুক্তি পাওয়া সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘সোনার চর’।

ছবিটির প্রযোজক জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের এপ্রিলে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য জায়েদ খানকে তিনি সাড়ে তিন লাখ টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছেন। এরপর জায়েদ খানকে আর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার খবরে পাওয়া যায়নি। বছরখানেক ধরে জায়েদ খান যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।