শাবনূর বললেন, ভালোবাসা বেড়েই চলেছে
দীর্ঘ বিরতির পর তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খবর দিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। এর মধ্যে একটি ছবির কয়েক দিনের শুটিং করে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান তিনি। দেশটিতে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এই নায়িকা। চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হলেও শাবনূরকে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহ মোটেও কমেনি। তাঁর অভিনীত সিনেমার গানগুলো এখনো সর্বোচ্চ ভিউ অর্জন করে। চলচ্চিত্রে শাবনূরের পথচলার আজ ৩১ বছর পূর্ণ হয়েছে। এক ফেসবুক পোস্টে শাবনূর তা মনে করিয়ে দিলেন।
১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর নির্মাতা এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে নায়িকার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একের পর এক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর সাথে গড়ে ওঠে জনপ্রিয় এক জুটি, যা এখনো দর্শকদের হৃদয়ে নাড়া দেয়।
চলচ্চিত্র জগতে তিন দশকের বেশি সময় পার করা নিয়ে উচ্ছ্বসিত শাবনূর। ফেসবুক পোস্টে তিনি অভিনয়জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণা করে লিখেছেন, ‘নামজাদা চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রয়াত এহতেশাম দাদুর “চাঁদনী রাতে” ছবির মাধ্যমে ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর আমার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয়েছিল। সবার ভালোবাসায় আজ ৩১ বছর পূর্ণ হলো, আলহামদুলিল্লাহ।’
সন্তুষ্টি প্রকাশ করে শাবনূর বলেন, ‘আল্লাহর রহমত ও সবার দোয়ায় চলচ্চিত্রে এখনো যথেষ্ট সম্মান নিয়েই বেঁচে আছি।’ ফেসবুক পোস্টে অভিনয়জীবনের দীর্ঘ পথচলায় জড়িত সব প্রযোজক, পরিচালক, সহশিল্পী, চিত্রনাট্যকার, নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী, চিত্রগ্রাহক, কলাকুশলীসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শাবনূর লিখেছেন, ‘বিশেষ করে আমার ছবির দর্শক ও অগণিত ভক্তদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি আজকের শাবনূর। সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত হওয়ার পর থেকে সর্বক্ষণ উপলব্ধি করছি, আমাকে নিয়ে দর্শকদের ভালোবাসা আজও বদলায়নি, বরং বেড়েই চলেছে। আমার প্রতি আপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ভবিষ্যতেও আশা করি অব্যাহত থাকবে।’
সাংবাদিকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শাবনূর লিখেছেন, ‘আপনারা প্রায় সবাই যেভাবে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে আমাকে এত দূর এগিয়ে আসতে সাহায্য করেছেন, তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’
সবশেষে সবার প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা, সবার প্রতি অনেক শুভকামনা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।
দীর্ঘ ৩১ বছরের অভিনয়জীবনে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন শাবনূর। এর মধ্যে আছে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বউ শাশুড়ির যুদ্ধ’, ‘হৃদয়ের বন্ধন’, ‘মোল্লাবাড়ীর বউ’। সম্প্রতি দেশে ফিরে আরাফাত হোসাইনের ‘রঙ্গনা’ ও চয়নিকা চৌধুরীর ‘মাতাল হাওয়া’সহ তিনটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন শাবনূর।