আমাদের দুজনের একান্ত বিষয়গুলো সন্তানের ওপর প্রভাব ফেলতে দেব না: শরিফুল রাজ
গত সপ্তাহজুড়েই পরীমনি-শরীফুল রাজের দাম্পত্য কলহ প্রকাশ্যে আসে। বন্ধুদের সঙ্গে রাজের ভিডিও ক্লিপ ও স্থিরচিত্র ফাঁসের ঘটনা কেন্দ্র করে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করতে দেখা গেছে তাঁদের। কখনো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে, কখনোবা গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তাঁদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য উঠে আসে। এসব বক্তব্যে তাঁদের সংসার ভেঙে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এমনকি প্রথম আলোর আয়োজন ‘মেরিল ক্যাফে লাইভ’-এ পরীমনি একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমি ডিভোর্স চাই।’
এমন ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে গত শনিবার পরীমনি ও রাজের সন্তান রাজ্যের জন্মের ১০ মাস পূর্ণ হয়েছে। এদিন রাজ্যকে নিয়ে পরীমনি ও রাজকে তাঁদের বসুন্ধরার বাসায় একসঙ্গে দেখা গেল। রোববার সকাল ৬টায় ১ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুক পেজে প্রকাশ করে পরীমনি লিখেছেন, ‘আজ রাজ্যের ১০ মাস পূর্ণ হলো, আলহামদুলিল্লাহ। শুভ ১০ মাস বাজান। মাসের ১০ তারিখটা আমাদের জন্য অনেক স্পেশাল! ব্যস, এতটুকুই।’
আচমকা রাজ-পরীমনিকে একসঙ্গে, এক ছাদের নিচে দেখে তাঁদের ভক্ত-অনুসারীরাও নড়েচড়ে বসেন। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া পড়েছে প্রায় দুই লাখ। ভিউ হয়েছে ২৭ লাখ। ভিডিওতে রাজ্য, রাজ ও পরীকে একসঙ্গে দেখে ভক্ত, অনুসারীদের মধ্যে গুঞ্জন ওঠে—রাগ, অভিমান ভুলে, নিজেদের মধ্যে জটিলতা কাটিয়ে তাঁরা কি আবার এক হচ্ছেন?
এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে রাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রথম আলোকে রাজ বলেন, ‘এখানে একসঙ্গে হওয়া না–হওয়ার বিষয়টি বড় নয়। আমি আমার বাচ্চাকে দেখতে বাসায় যাব না?
তার বিশেষ দিন সেলিব্রেশন করব না? আমার বাচ্চার বার্থডে সেলিব্রেশন করতে বাসায় গিয়েছিলাম আমি। কারণ, আমাদের দুজনেরই বাচ্চার সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে। বাচ্চার এই বিশেষ দিনটির জন্য আমরা দুজনই নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি। এরপর একসঙ্গে হয়ে সন্তানের জন্মের ১০ মাস পূর্তির কেক কেটেছি। দিনটা রাজ্যের জন্য স্পেশাল। তাই দিনটিতে সব সময়ই তাঁকে ঘিরে সর্বোচ্চ সময় দিই আমরা। ওকে নিয়ে সেলিব্রেশন করি।’
এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘যেখানে যেভাবেই থাকি, বাচ্চার স্পেশাল দিনটিতে আমরা দুজন সারা জীবনই একসঙ্গে হব। আমাদের দুজনের একান্ত বিষয়গুলো সন্তানের ওপর প্রভাব ফেলতে দেব না। রাজ্যের একটা বিউটিফুল জীবন দিতে চাই আমরা।’
জানা গেছে, সন্তানের বিশেষ দিনটি পালনের জন্য ওই দিন রাত ১২টার পর রাজ্যের জন্য বিশেষ কেক নিয়ে বাসায় হাজির হয়েছিলেন রাজ।