রাস্তায় নেমে হলিউডের আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করেছি, দেশে ফিরে বললেন জায়েদ খান
এক মাসের বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। মূলত ঢালিউড ফিল্ম অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ডে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসেও গিয়েছিলেন জায়েদ। ওই সময়টায় সেখানে হলিউডের লেখক ও অভিনয়শিল্পীদের ধর্মঘট চলছিল। আজ রোববার ভোরে ঢাকায় ফিরে জায়েদ খান বললেন, হলিউডের শিল্পী ও কলাকুশলীদের সেই আন্দোলনে রাস্তায় নেমে তিনি একাত্মতা পোষণ করেছেন।
আজ রোববার ভোরে ঢাকায় নেমে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘যেদিন আন্দোলন চলছিল, সেদিন আমি লস অ্যাঞ্জেলসে ছিলাম। হলিউডের শিল্পীরা রাস্তায়। আমি দেখলাম খারাপ দেখায়, আমি গিয়ে রাস্তায় দাঁড়ালাম। লোকাল সংবাদমাধ্যম যারা আসছিল। বলেছি, শিল্পীরা সব জায়গায় শিল্পী। শিল্পীদের এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছি এবং এই শিল্পীদের সঙ্গে আমি আছি।’
জায়েদ খান তাঁর ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ভালোবাসার বাংলাদেশ।’ রাত চারটায় সারাপ্রাইজ এয়ারপোর্টে। ২ নম্বর টার্মিনাল দিয়ে জায়েদ খান বেরিয়ে আসেন। তাঁকে ওখানে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে সেলফিও তোলেন। জায়েদ খান বললেন, ‘ভাবছিলাম কেউ জানবে না। তাই রাতের ফ্লাইট নিয়েছিলাম যে লুকাইয়ে যাব। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসায় সেটা সম্ভব হয়নি।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় জায়েদ খান সম্মাননাও গ্রহণ করেছেন। সম্প্রীতি, শান্তি এবং নিজ নিজ স্থানে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেন, এমন ব্যক্তিদের ‘দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান প্লাটিনাম লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়েছে। এ বছর বিশ্বের ৪০ জনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এই সম্মাননা পেয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ এবং দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান ফোকাস ফাউন্ডেশন থেকে যৌথভাবে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০ জুলাই বিশেষ অভ্যর্থনার জন্য জাতিসংঘের সদর দপ্তরের ডেলিগেট ডাইনিং রুমে ৪০ জনের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন জায়েদ খান। এই পুরস্কারপ্রাপ্তির পর অনেকে টাকা দিয়ে পুরস্কার কেনার অভিযোগ তোলেন।
এ সম্পর্কে জায়েদ খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘টাকা দিয়ে অ্যাওয়ার্ড কেনার সামর্থ্য আমার নেই। আর এই টাকা দিয়ে অ্যাওয়ার্ড কিনে আমার কিছু করারও নেই। কেননা আমি কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করব না। অনেকে নানা কথা বলছেন। এসব নিয়ে আমি কোনো কথা বলব না। ভালো কিছু করতে গেলে কথা হবেই। আমি শুধু একটা কথাই বলব, সমালোচনা করে তারাই, যারা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। আমি অর্জন করেছি, এই অর্জন আমার। যারা সমালোচনা করে, তারা সমালোচনা করবে। আপনি পৃথিবীতে শত ভালো কাজ করলেও কোনো আলোচনা হবে না। সবার উৎসাহিত করা উচিত ছিল যে আমার বাঙালি ভাই তো পেয়েছে।’