শাবনূর জানালেন, টম ক্রুজ ও ডিক্যাপ্রিওর প্রেমে পড়ার কারণ

শাবনূরপ্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সৌজন্যে

১৪ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেছিলেন শাবনূর। ‘চাঁদনী রাতে’ দিয়ে শুরুটা করে কাটিয়েছেন দেড় যুগ। পর্দায় প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করে অনেকেরই মনে প্রেম জাগিয়েছেন। জায়গা করে নিয়েছেন মনের কোণে। সহশিল্পীদের সঙ্গে প্রেমের খবর যেমন শোনা গেছে, ব্যবসায়ীসহ অন্য মহলের মানুষও ঢালিউডের তুমুল জনপ্রিয় এই নায়িকাকে নানা সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার তিনি প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে জীবনের এমন মজার ঘটনাও ভাগাভাগি করেছেন। তবে শাবনূরের প্রেমে অনেকে হাবুডুবু খেলেও শাবনূর কারও প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে বললেন সেই গল্পও।

শাবনূর
ছবি : প্রথম আলো

শাবনূর জানালেন, ‘দেশের বাইরের তারকাদের মধ্যে টম ক্রুজ আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও আছেন সেই পছন্দের তালিকায়। তাঁরা যে আমার ক্রাশ, এটা আমার পরিবারের সবাই জানে। আমার স্কুলপড়ুয়া ছেলেটাও জানে এ কথা।’
শাবনূর বললেন, ‘আমার ছেলে আইজান আমার চেয়ে এক কাঠি সরেস। সে তো বলেছে, বড় হয়ে আমাকে টম ক্রুজের সঙ্গে একবার হলেও দেখা করিয়ে দেবে।’

টম ক্রুজ ও লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর প্রেমের গল্পটা বললেন এভাবে, ‘টম ক্রুজ ও লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও তো আমার ক্রাশ। “টাইটানিক” দেখার পর থেকেই লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও আমার ক্রাশ। মনে মনে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নায়িকা হতে না চাইলেও ভালো লাগত আরকি। চকলেট বয় টাইপ ছিল তো। এই টাইপের হিরোরা বরাবরই আমার পছন্দ। আমি কিন্তু তাই সব সময় চকলেট বয়দের সঙ্গে কাজ করছি। খুঁজে খুঁজে চকলেট বয় হিরোদের সঙ্গে কাজ করছি। আমার নায়কদের তালিকা দেখলেও তা বোঝা যাবে। এই যেমন আমার বেশির ভাগ ছবির নায়ক সালমান শাহ, ফেরদৌস, রিয়াজ, শাকিব—সবাই চকলেট বয়। আমার সব হিরো চকলেট বয় টাইপের।’

আরও পড়ুন

শাবনূর সুযোগ পেলে টম ক্রুজকে ফুলের তোড়া উপহার দেওয়ার কথাও বললেন। বললেন, ‘বুড়ো হয়ে গেলেও একবার টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করতে চাই। তরুণী থাকতেই মধুমিতায় টম ক্রুজের “মিশন ইম্পসিবল” দেখেছিলাম। এই ছবি দেখেই টম ক্রুজের প্রেমে পড়ে যাই। ছবি দেখার পর লা পেরুজ জায়গাটা আমাকে মুগ্ধ করে। ভেবেছি, এত সুন্দর অস্ট্রেলিয়া! ইশ্‌, কোনো দিন যদি যেতে পারতাম! তারপর সিনেমায় অভিনয়ের অনেক দিন পর দেখি, টম ক্রুজ যেখানে শুটিং করেছেন, লা পেরুজ, সেই জায়গায়ও গেছি। সামনাসামনি জায়গাটা দেখেও মুগ্ধ হয়েছি। সত্যিই বলে বোঝাতে পারব না, প্রথমবার কতটা ভালো লেগেছিল। আর এখন তো লা পেরুজ ডালভাত হয়ে গেছে। আমার ছেলে আইজানকে বলেছি, আমার অনেক শখ টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করার। টম ক্রুজ যদি বুড়োও হয়ে যায়, তারপরও একবার দেখা করব। আমার ছেলেও বলছে, সে বড় হলে আমাকে আমেরিকা নিয়ে যাবে। দেখা করিয়ে দেবে। আমিও অধীর আগ্রহে আছি টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করার। সামনাসামনি টম ক্রুজের দেখা পেলে একগুচ্ছ গোলাপ দেব।’

জীবনের ৪৫ বছর পেরিয়ে আজ ৪৬-এ পা দিলেন নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। আজও পরিচালকেরা তাঁকে নিয়ে ভিন্ন রকম গল্পের চিন্তাভাবনা করেন। বছরের পর বছর জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এই নায়িকার বিশেষ দিনটি ঘিরেও ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীর থাকে উৎসাহ ও উন্মাদনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্লভ সব স্থিরচিত্র ও ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেন। লেখা হয় নানা কথা। এসবে শাবনূর অনুপ্রাণিত হন। ভালোবাসা নতুন করে উপলব্ধি করেন।

আরও পড়ুন

১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর শাবনূরের জন্ম যশোরের শার্শা উপজেলায়, তাঁর বাবার নাম শাহজাহান চৌধুরী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে শাবনূর বড়। শাবনূরের ছোট বোনের নাম ঝুমুর, ভাই তমাল। পারিবারিকভাবে শাবনূরের নাম রাখা হয় কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর। পরে কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর নামটি পাল্টে চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম রাখেন শাবনূর। ১৯৯৩ সালে এই পরিচালকের ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে পথচলা শুরু হয় তাঁর।