নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে, নিষেধাজ্ঞার খবর শুনে ডিপজল
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণের করা রিটে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও খলচরিত্রের অভিনেতা ডিপজল তাঁর পদে বসতে পারবেন না, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণের অভিযোগ তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এদিকে হাইকোর্টের এই আদেশের পর ডিপজল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটার পেছনে অবশ্যই বড় শক্তি আছে। যেহেতু দেশের বাইরে থেকে সে (নিপুণ) এসব করছে, সেহেতু বুঝতে হবে, তার পেছনের হাত লম্বা।’
অনিয়মের অভিযোগ তুলে সমিতির নির্বাচনের (২০২৪-২৬) ফলাফল বাতিল এবং নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে ১৪ মে রিটটি হয়। রিটটি করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত চিত্রনায়িকা নিপুণ। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। পরে আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায় প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট রুল দিয়ে ওই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগসংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষকে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে ছয় মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’
হাইকোর্টের আদেশের পর ডিপজল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বরাবরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হাইকোর্ট যেহেতু রায় দিয়েছেন, এখানে কিছু বলার নাই। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে দুই–এক দিনের মধ্যে আমরা চেম্বার জজ আদালতে যাব।’
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ফুলের মালা দিয়ে নতুন কমিটিকে বরণ করে নেওয়ার চার সপ্তাহে এসে আবার কমিটি বাতিল চাওয়ার পেছনে বড় শক্তি আছে বলে মনে করেন ডিপজল। নিপুণের এমন আচরণে সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও দাবি করেন ডিপজল। তাঁর দাবি, সোহেল রানাসহ কয়েকজন সিনিয়র শিল্পীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত।
নিপুণ এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে আছেন। সেখানে থাকা অবস্থায় রিটের খবরটি প্রকাশ্যে আসে।
রিটের খবর প্রকাশ্যে আসার পর শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘যিনি সংবিধানকে ক্ষত–বিক্ষত করেছেন, তাঁকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝিয়ে দেব শিল্পী সমিতির সংগঠন কী? এবার শিল্পী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কে? এবার শিল্পী সমিতির কেবিনেটটা কী?’ অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক ডিপজল ‘কেস খেলবা আসো, যেটা খেলার মন চায়, সেটাই খেলো’—এমন কথাও বলেছেন।
এ প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতে নিপুণ বলেছিলেন, ‘এসব নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আমার আদালতে দেখা হবে। যেহেতু আমি হাইকোর্টে রিট করেছি, তাই এসবের জবাব সেখান থেকে আসবে। কারণ, কথা যত বলব, ততই কথা বাড়বে, তা–ই না? যেহেতু আমি অনিয়ম নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় হেঁটেছি, তাই আইনিভাবে সব মোকাবিলা করা হবে। তবে একটা কথা বলব, মূর্খ লোকদের সঙ্গে কথা বলার একদমই ইচ্ছা আমার নেই।’