শাওনের সতর্কবার্তা, তারপরও জায়েদ খানকে নিয়ে হা হা রিঅ্যাকশনের বন্যা!
চার দিন আগে ছিল অভিনেতা জায়েদ খানের জন্মদিন। সেদিন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন জায়েদকে ফেসবুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। অনেকেই জায়েদ খানকে নিয়ে সমালোচনা করেন। নানা মন্তব্য লিখে অনেকেই ট্রল করেন। এমন অবস্থান থেকে ফেসবুক পোস্টে ছিল শাওনের সতর্কবাতা।
সেই স্ট্যাটাসে জায়েদ খানের ‘সরলতা’ নিয়ে মন্তব্য করেন এই অভিনেত্রী। পাশাপাশি কিছু পরামর্শ দেন। সেই স্ট্যাটাসে বিশেষ করে ভক্তদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, স্ট্যাটাসে হা হা রিঅ্যাকশন দিলেই বন্ধুতালিকা থেকে বাদ দেবেন। কিন্তু এই অভিনেত্রীর ফেসবুকের বন্ধুরা এ মন্তব্যেও হাসির ইমো দিয়েছেন। একের পর এক হা হা রিঅ্যাকশন জমা হয়েছে। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে হাসির রিঅ্যাকশন। বর্তমানে হা হা রিঅ্যাকশনের সংখ্যা ১১ হাজারের বেশি, যা ক্রমাগত বাড়ছে!
শাওনের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে তুলে দেওয়া হলো। তিনি লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন জায়েদ খান। তোমার সরলতাই তোমার সম্পদ। তবে সেই সরলতা যেন বোকামিতে রূপ না নিতে পারে, সেই সীমারেখাটা টানা দরকার। কত বেশি বলবে, তা ভাবার চেয়ে, কখন চুপ করে শুধু শুনবে, সেটা বুঝতে পারা তোমার জন্য খুব প্রয়োজন। তোমার যতটুকু প্রতিভা আছে, তা পরিপূর্ণতা পাক এবং শুধু সেটা নিয়েই আলোচনা হোক এই শুভকামনা। অনেক ভালো থেকো।’
স্ট্যাটাস এখানে শেষ হলেও হতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। কারণ, মেহের আফরোজ শাওনও হয়তো জানতেন, জায়েদ খানকে নিয়ে ফেসবুকে হাসাহাসি হয়। সে প্রভাব তাঁর স্ট্যাটাসের রিঅ্যাকশনে লাগতে পারে। তাই সতর্ক করে লিখেছেন, ‘সংযোজন, এটা মজা করার জন্য দেওয়া কোনো পোস্ট নয়। আমি সচেতনভাবে আমার স্নেহের একজনকে আমার ভাষায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। আপনাদের অনেকের কারণে-অকারণে হাসি আসতেই পারে, কিন্তু “হা হা” রিঅ্যাকশন দেওয়া কেউ আমার বন্ধুতালিকায় থাকলে সেই হাস্যমুখী ব্যক্তিকে তালিকা থেকে বাতিল করে দেওয়া হবে। শুভ আনফ্রেন্ডিং।’
সেই স্ট্যাটাসে পরিচালক শাহনেওয়াজ কাকলি লিখেছেন, ‘ওরে আমি কাস্টিং দিয়ে মানুষ বানাতে চাই।’ তাঁর উত্তরে শাওন লিখেছেন, ‘আপু তুমি পারবা।’ এমন বহু মন্তব্য মনে করিয়ে দেয়, জায়েদ খান কি তাঁর সঠিক জায়গায় আছেন নাকি দিন দিন নিজেকে হাসির পাত্র বানাচ্ছেন? জায়েদের সবকিছুতেই কেন দেশের সাধারণ সিনেমাপ্রেমীরা হাসছেন, সেই প্রশ্ন অনেকের।
এ নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম পরিচালক মতিন রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রথমত, দর্শকেরা অনেকেই এখন সত্য–মিথ্যা যাচাই করছেন না। তাঁরা শিল্পীদের নানা বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করছেন। তাঁদের হাসাহাসির পাত্র বানাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, শিল্পীদের মানসম্মান, মর্যাদা, নিজের প্রকাশভঙ্গিতে সচেতন হতে হবে। দুটা মিলিয়ে অনেকটা প্রতিপক্ষের মতো হয়ে গেছে। কিছু শিল্পী কাজের চেয়ে অতিকথনে বেশি মনোযোগী। মনে করছেন, যা ইচ্ছা বলে নিজেকে প্রকাশের যুগ এটা, হয়তো তাঁকে নিয়ে কথা হওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। আবার দর্শকেরা ভাবছেন, যা ইচ্ছা মন্তব্য করলেই আরও বেশি বিনোদন পাওয়া যাবে। সেটাই হচ্ছে। শিল্পীকে সেই জায়গাটা তৈরির সুযোগ দেওয়া যাবে না। শিল্পীকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজের সম্মান ধরে রাখতে হবে। তা না হওয়ার কারণে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হচ্ছে। হাসির পাত্র হচ্ছেন অনেকে।’