ভক্তের প্রেম–প্রস্তাব, না মানলে মৃত্যুর হুমকি! যেভাবে সামলিয়েছেন নায়ক

বাপ্পি চৌধুরীশিল্পীর সৌজন্যে

ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের অভিনয়শিল্পী বাপ্পি চৌধুরী ও নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ঈদ উপলক্ষে তাঁরা গিয়েছিলেন বেসরকারি চ্যানেল দেশ টেলিভিশনে। সেখানে গিয়ে নিজেদের সম্পর্কে নানা মজার তথ্য জানিয়েছেন দর্শকদের। এক প্রশ্নের জবাবে ভক্তদের নিয়ে একটি মজার ঘটনার কথা জানিয়েছেন বাপ্পি।
আমাকে বিয়ে করতে হবে নয়তো মরে যাব—কোনো ভক্ত কি ফোন করে বাপ্পিকে এমন কথা বলেছেন? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে বাপ্পি বলেন, ‘আমি পাইসি অলরেডি একজন। মেয়েটি ক্লাস নাইনে পড়ত। আরও দুই-চার বছর আগের কথা। আমি একবার ক্যামেরার সামনে বলেছিলাম বিয়ের কথা। তো মেয়েটি ফেসবুকে ভিডিও ছাড়ছিল, আমি মরে যাব যদি তুই বিয়ে করিস। এর পরের দিন আমার বাসার নিচে চলে আসছিল। ওর বাবাকে নিয়ে। আমি একটু ভয় পাইসিলাম সেদিন। আমি বিষয়টি যেভাবে হ্যান্ডেল করছি সেটা হচ্ছে, তার সঙ্গে কথা বলেছি। তার বাবা অনুরোধ করে বলেছেন, তুমি এক–দুদিন কথা বলো পরে আমি ম্যানেজ করে নেব। তারপর আমি তার সঙ্গে এক সপ্তাহ কথা বলেছি। পরে ধীরে ধীরে ম্যানেজ করে নিসি।’

বাপ্পি চৌধুরী
শিল্পীর সৌজন্যে

বাপ্পি কি সিঙ্গেল? এ প্রসঙ্গে নায়ক বলেন, ‘বাপ্পি অবশ্যই সিঙ্গেল, কারণ সে বিয়ে করেনি। বিয়ে না করা পর্যন্ত একটা ছেলে সিঙ্গেলই থাকে।’ বাপ্পি প্রেম করছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাপ্পি প্রেম করছেন অবশ্যই সিনেমায়।’

এফডিসিতে আড্ডার ফাঁকে এভাবেই ক্যামেরাবন্দী হন শাবনূর, বাপ্পী চৌধুরী, নিরব ও পরীমনি। ছবি: শফিক আল মামুন

অন্যদিকে সবচেয়ে ভালো ঈদ কোনগুলো ছিল? প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী দীঘি বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেস্ট ঈদগুলো ছিল যখন আমার আম্মু ছিলেন। সেমাই থেকে শুরু করে আম্মুর হাতের সব খাবার থাকত। তবে এখন ঈদের দিনে রান্না করেন দীঘি।’
দীঘি-বাপ্পির বন্ধুত্ব নিয়ে বাপ্পি বলেন, ‘দীঘির সাথে প্রথম দেখা হয় ২০১৫-১৬–এর শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন।’ কথা টেনে নিয়ে দীঘি বলেন, ‘আমার সাথে বাবা ছিল। আমরা তিনজনে মিলে একটা ছবি তুলেছিলাম, যেটা ভাইরাল হয়েছিল। সবাই ভেবেছিল পরবর্তী সিনেমা মনে হয় আমরা একসাথে করব।’