মিশা-ডিপজলকে জয়ের মালা পরিয়ে দেন নিপুণ, বললেন...
শেষ হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির ২০২৪-২৬ নির্বাচন। ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর আগেরবারের সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার ও সভাপতি প্রার্থী মাহমুদ কলিকে হারিয়ে জয়ের মালা ছিনিয়ে নিয়েছে মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্যানেল।
শুক্রবার ভোট গ্রহণ শেষে শনিবার সকালে ঘোষিত হয় ফলাফল। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি। সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়ে হেরেছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার। পেয়েছেন ২০৯ ভোট।
ভোটে হেরেই গণমাধ্যমের কাছে নিজের অনুভূতির কথা জানান নিপুণ। নিপুণের ভাষ্য, ‘ভেবেছিলাম ডিপজল সাহেবের বিপরীতে আমি যখন দাঁড়াব, ভোট পাব সর্বোচ্চ ৫০টি। সেখানে ভোট পেলাম ২০৯টি। হেরেছি মাত্র ১৬ ভোটে। এতেই প্রমাণিত হলো যে শিল্পী সমিতির ভাই-বোনেরা আমাকে কতটা ভালোবাসেন। এত সম্মান দেওয়ার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।’ এমনকি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য নিজেকেই কৃতিত্ব দেন নিপুণ। অথচ নির্বাচনের আগে নিজের জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী ছিলেন এই অভিনেত্রী।
নির্বাচনে হেরে গেলেও মিশা-ডিপজলকে জয়ের মালা পরিয়ে দেন নিপুণ। পাশাপাশি পরাজিত নিপুণকেও মালা পরিয়ে দিয়েছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খলনায়ক ডিপজল।
অন্যদিকে নির্বাচনে জিতেই নিপুণ আক্তার এবং ডিপজলকে হাতে হাত মিলিয়ে সবাই একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন মিশা। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পাশে থাকার জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিনেতা। নিপুণের প্রশংসা করে মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমরা জিতেছি, এটা বড় কথা নয়, নিপুণসহ তাঁর প্যানেলের সবাই আমাদের পাশে থাকবেন। আমরা সবাই এক।’
নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান মনোয়ার হোসেন ডিপজলও। তিনি বলেন, ‘নিপুণকে আমি এনেছিলাম চলচ্চিত্রে। তাতে হার–জিত বড় কথা নয়। ওকে আমি মেয়ের মতোই স্নেহ করি। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে থাকতে চাই। কোনো ভাগাভাগি চাই না।’
যদিও নির্বাচিত প্রার্থী এবং হেরে যাওয়াদের মধ্যে মালাবদল হলেও নিপুণ প্যানেলের ভরাডুবি নিয়ে চলছে জল্পনা–কল্পনা। নিপুণের এবার যে ভরাডুবি হচ্ছে, তা আগেই আন্দাজ করেছেন অনেকে। কারণ, নির্বাচনের আগেই বহু জটিলতায় পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তাঁর হাত ছেড়ে দিয়েছিলেন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তখনই অথই সাগরে পড়ে যান চিত্রনায়িকা। এরপর মাহমুদ কলিকে নিয়ে মাঠে নামলেও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি অভিনেত্রী। যার ফল এই নির্বাচন।