তিশা বললেন, বিয়ের পরে অনেক বছর একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো...
ক্যারিয়ার শুরুর পরে বিভিন্ন সময় শুনতে হয়েছে কবে বিয়ে করছেন। পরবর্তী সময়ে বিয়ের পর নানা রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। এর মধ্যে একটি ছিল, ‘বিয়ে তো হলো, বাচ্চা নিচ্ছেন কবে’! এমন অনেক কিছু। ঘটনাগুলোয় বিব্রত হতে হতো এই অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি এই ঘটনা নিয়েই তিশা মুখ খুলেছেন কিশোর আলোর কার্নিভ্যালে।
কিশোর আলোর কার্নিভ্যালে দেশের গুণী তারকা, বিভিন্ন স্কুলের একঝাঁক শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ অনেকে অংশ নেন। আলোচনায় মুখ্য হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীদের সচেতনভাবে বেড়ে ওঠাকে কেন্দ্র করে। এই আয়োজনে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন তিশা।
শিক্ষার্থীদের কাছে নানা বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন। তাঁদের পরামর্শ দেন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। শুধু ক্লাসের নয়, বাইরে জগৎ সম্পর্কে জানতে উদ্বুদ্ধ করেন। এই সময় তিশা বলেন, ‘নেগেটিভ মন্তব্যগুলো না পড়লেই পারো। এতে কিছুই যায় আসে না। মানুষ অনেক কথাই বলবে। সেগুলোতেও কিছুই যায় আসে না। সেগুলো না পড়া বা জীবনে না নেওয়ার ভালো। এগুলো চোখে না নেওয়াই ভালো।’
এই সময় তিশা নিজের প্রসঙ্গ টেনে উদাহরণ দিয়ে আরও বলেন, ‘আমি আজ খোলাখুলি বলি, বিয়ের পরে অনেক বছর একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো। বাচ্চা কবে নেবেন? আমি বিয়ের ১১ বছর পরে বাচ্চা নিয়েছি। আমার প্রশ্নটা এখানে, আমার বাচ্চা যখন হবে, তখন কি আপনারা মানুষ করে দেবেন? আমার বাচ্চাকে আমারই মানুষ করতে হবে। যাঁরা নেগেটিভ প্রশ্ন করেন, তাঁদের প্রশ্নগুলো তো তোমার জীবন বদলে দেবে না। তাঁদের প্রশ্ন নিয়ে তোমরা যদি ফ্রাসট্রেটেড হয়ে যাও, সেটায় তোমার নাকি তার; কার ক্ষতি?’ সময় দর্শকসারিতে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, ‘তাঁদের ক্ষতি।’
এক সপ্তাহ আগে বুসান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে ফিরেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও তিশা দম্পতি। উৎসবে কিম জিসোক শাখায় প্রতিযোগিতা করে ফারুকী পরিচালিত ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ বা ‘অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমাটি। এশিয়ার মর্যাদাপূর্ণ বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের ২৮তম আসরে সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। চরকি অরিজিনাল সিনেমাটি শিগগিরই দেশে মুক্তি পাবে।
এর আগে অটোবায়োগ্রাফি নিয়ে পরিচালক বলেছিলেন, ‘আমি নানা রকম গল্প বলার চেষ্টা করেছি। সেগুলোর একেকটা একেক রকমভাবে মানুষকে স্পর্শ করেছে। অভিনয় কেমন হওয়া উচিত, কোন গল্প বলা জরুরি—এসব নিয়ে সারাক্ষণই নিরীক্ষা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যে কাজ কখনোই করার চেষ্টা করিনি, সেটা হলো অভিনয়। প্রথম দিকে এটা নিয়ে আমার মধ্যে ইতস্ততভাব থাকলেও তিশা আমাকে একটা কথা বলে আমার সংশয় দূর করে দেয়। ও বলে, “এই গল্প তুমি জীবনে একবারই করতে পারবে। করে ফেলো, প্লিজ!”’ সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন এই তারকা দম্পতি।