আপনারা যাঁরা ভাবছেন আন্দোলনটা স্রেফ একটা চাকরির জন্য, তাঁরা বোকার স্বর্গে আছেন: ফারুকী
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় তারকা। অনেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে পোস্ট করেছেন, কেউ লিখেছেন সহিংসতা। এবার মুখ খুললেন নন্দিত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এই আন্দোলন রাষ্ট্রক্ষমতায় যাঁরা আছেন তাঁদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে দেশের মালিক তাঁরা না। আসল মালিক জনগণ। সেই জনগণকে রাষ্ট্র যে পাত্তা দেয় না, এই আন্দোলন সেটার বিরুদ্ধেও একটা বার্তা। রাষ্ট্র জনগণকে কেন পাত্তা দেয় না এই আন্দোলনকারীরা সেটাও বোঝে। যে কারণে ভোটের বিষয়টাও স্লোগান আকারে শুনেছি। আমি এটাকে এইভাবেই পাঠ করছি।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গতকাল মঙ্গলবার গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের ছবি পোস্ট করে নিজের মত জানিয়েছেন তিনি।
‘আপনারা যাঁরা ভাবছেন আন্দোলনটা স্রেফ একটা চাকরির জন্য, তাঁরা বোকার স্বর্গে আছেন। আপনারা এর সবগুলা স্লোগান খেয়াল করেন। দেখবেন, এই আন্দোলন নাগরিকের সমমর্যাদার জন্য। এই আন্দোলন নিজের দেশে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে না বাঁচার জন্য। এই আন্দোলন রাষ্ট্রক্ষমতায় যাঁরা আছেন তাঁদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে দেশের মালিক তাঁরা না। আসল মালিক জনগণ।
সেই জনগণকে রাষ্ট্র যে পাত্তা দেয় না, এই আন্দোলন সেটার বিরুদ্ধেও একটা বার্তা। রাষ্ট্র জনগণকে কেন পাত্তা দেয় না এই আন্দোলনকারীরা সেটাও বোঝে। যে কারণে ভোটের বিষয়টাও স্লোগান আকারে শুনেছি। আমি এটাকে এইভাবেই পাঠ করছি।’ এভাবেই নিজের দীর্ঘ লেখা শুরু করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এরপর জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহির কথা উল্লেখ করে ফারুকী লিখেছেন, ‘পাবলিক সারভেন্ট শব্দটা বেশ ভালো। নির্বাচিত (!) প্রতিনিধি বা যেকোনো সরকারি বেতনভুক্ত ব্যক্তিকে এই শব্দেই ডাকা উচিত সব সময়। এই আন্দোলন সেই পাবলিক সারভেন্টদের মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, আপনি আমার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানিয়েছেন, তিনি শারীরিকভাবে এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। যে কারণে সীমিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কিছুদিন আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে পরে সরিয়ে ফেলেন। কেন সেই পোস্ট সরিয়েছিলেন, আজকের স্ট্যাটাসে সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ফারুকী।
তিনি বলেন, ‘একটা স্ট্যাটাস দিলে আমার মাথার মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়! পরবর্তীতে আরেকটা কথা লিখতে ইচ্ছা হয়। এবং লিখতে থাকলে যত বেশি এংগেজড হই, সেটা আমার শারীরিক অবস্থার জন্য ভালো না। আমার শরীর সুস্থ করার জন্য যে লড়াইটা, সেটা এক দীর্ঘ লড়াই। সেই লড়াইটা করার অনুমতি নিশ্চয়ই পেতে পারি?’