দিলশাদ থেকে অনন্যা—মিমের প্রিয় পাঁচ চরিত্র কোনগুলো
দেড় দশকের ক্যারিয়ারে কুড়িটির মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তারকা অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা সাহা মিম। বলছেন, প্রতিটি চরিত্রই তাঁর প্রিয়; তবে আজ জন্মদিন উপলক্ষে প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য প্রিয় পাঁচ চরিত্রের কথা বললেন তিনি।
দিলশাদ, ‘আমার আছে জল’
যাঁরা ‘আমার আছে জল’ উপন্যাসটি পড়েছেন, তাঁদের কারও কারও কাছে স্বপ্নের চরিত্র দিলশাদ। সেটি আমারও স্বপ্নের চরিত্র ছিল। এটি আমার প্রথম ছবি, প্রথম সন্তানের মতো। স্যারের (হুমায়ূন আহেমদ) সঙ্গে কাজের সুযোগ পাওয়াটা স্বপ্নের মতো ছিল। চরিত্রটার বয়স ছিল ১৩ বছর; পরে এত কম বয়সী কোনো চরিত্রে আর কাজ করা হয়নি
কবিতা, ‘জোনাকির আলো’
কবিতা চরিত্রটি করে আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। ফলে চরিত্রটি আমার কাছে বিশেষ। কাজটা করার সময় পরিচালক (খালিদ মাহমুদ মিঠু) বলছিলেন, তুমি ভালো অভিনয় করেছ। পুরস্কার পেতে পারি, সেই আশা নিয়ে কাজটা করিনি। তবে মিলে যাওয়ায় অভিভূত হয়েছিলাম
ফুলেশ্বরী, ‘পদ্ম পাতার জল’
ফুলেশ্বরী একটি ঐতিহাসিক চরিত্র। এই ধরনের চরিত্রে খুব একটা কাজ করা হয়নি আমার। চরিত্রটিও দারুণ। এটি আমার প্রিয় চরিত্রের একটি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তন্ময় তানসেন
অনন্যা, ‘পরাণ’
অনন্যা চরিত্রটার জন্য প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি। আমাদের দেশে নায়িকারা সচরাচর একটু বৈচিত্র্যময় চরিত্র করতে চান না। নায়িকা মানে শুধুই নায়িকা। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নায়িকারা বৈচিত্র্যময় চরিত্রে কাজ করছেন। অনেক সময় ভিলেনও হিরো হয়ে যাচ্ছেন। ফলে চরিত্রটি আমার ক্যারিয়ারে আলাদা হয়ে থাকবে
হাসনা, ‘দামাল’
বলতে গেলে এটিই আমার প্রথম কোনো মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা। ফলে চরিত্রটিও আমার প্রিয়। ‘পরাণ’ ও ‘দামাল’—দুটি ছবিই পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফী