‘আলাদিনের প্রদীপে যেভাবে দৈত্য এলো’ কি আসলেই সেই আলাদিন আর প্রদীপের দৈত্যের গল্প?
মারিয়া শান্ত : একটু ভিন্ন। আলাদিন আর দৈত্যের গল্পটাকেই অন্যভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা হয়েছে। একদিকে রোমান্টিক গল্প, আরেক দিকে আলাদিনের রহস্যময় ব্যাপারস্যাপার। সব মিলিয়ে মজার গল্প।
সত্যি সত্যি এমন প্রদীপ পেলে কী করতে চাইতেন?
মারিয়া শান্ত : সবার আগে চাইব, আমার দেশে যেন শান্তি আসে, সমতা আসে। যেন মানুষের মন থেকে জটিলতা-কুটিলতা দূর হয়ে যায়। কারও মধ্যে যেন হিংসা না থাকে।
প্রথম আলো :
আগে একবার বলেছিলেন, রোমান্টিক ও রহস্যধর্মী চরিত্র ভালো লাগে। তেমন চরিত্রের সন্ধান পেলেন?
মারিয়া শান্ত : বেশ কয়েকটা রোমান্টিক গল্পে কাজ করেছি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে অনেক কাজ মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। গত ঈদেও ছয়টি নাটকে অভিনয় করেছি, মুক্তি পেয়েছে তিনটি। ঈদের পর আরও তিনটি কাজ করেছি, একটি মুক্তি পেয়েছে; এখনো মুক্তির অপেক্ষায় আছে পাঁচটি। এগুলোর বেশির ভাগই রোমান্টিক। তবে রহস্যগল্প সেভাবে পাইনি।
থ্রিলার ও রোমান্টিক জনরার প্রতি আলাদা ভালো লাগা কেন?
মারিয়া শান্ত : নির্দিষ্ট কারণ বলতে পারব না। তবে এ ধরনের কাজ আমি বেশি কানেক্ট করতে পারি। যদিও থ্রিলার করার জন্য অনেক বেশি অভিজ্ঞতা দরকার।
প্রথম আলো :
আপনার প্রথম নাটক ‘লাফাঙ্গা’র পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় আপনার খোঁজ পেয়েছিলেন কীভাবে?
মারিয়া শান্ত : ‘লাফাঙ্গা’ প্রথম মুক্তি পেলেও আমার অভিনীত প্রথম নাটক স্পর্শের ছোঁয়া। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি আমাকে নির্বাচন করে। যতদূর জানি, শুরুতে তারা নাজনীন নীহাকেও নির্বাচন করেছিল। আমিও অডিশন দিয়েছিলাম। সিএমভির মাধ্যমেই এরপর পরিচালক হৃদয় ও অভিনেতা মুশফিক ফারহানের সঙ্গে দেখা। হঠাৎই কাজটা হয়ে যায়।
প্রথম আলো :
সিনেমা নিয়ে কী ভাবছেন?
মারিয়া শান্ত : এখনো ভাবছি না। আমার মা নাটক পছন্দ করেন। যখন বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করতাম, তখন মা বলতেন, ‘তুই যদি বাড়তি আর কিছু করিস, তাহলে নাটকে অভিনয় করিস।’ তাই মায়ের ইচ্ছায় নাটকে অভিনয় করা। আগে যাঁরা নিয়মিত অভিনয় করতেন, তাঁদের মধ্যে সুবর্ণা মুস্তাফা ম্যাম, শমী কায়সার ও অপি করিমকে তাঁর খুব পছন্দ। তাঁদের প্রতি ভালো লাগার কারণে আমাকেও অভিনয়ে দেখতে চেয়েছেন।
পরিবারে কেউ অভিনয় করতেন?
মারিয়া শান্ত : না।
প্রথম আলো :
তাহলে অভিনয়ে আগ্রহী হলেন কীভাবে?
মারিয়া শান্ত : কেউই সেভাবে প্রেরণা ছিল না। যখন চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি, তখন আমার আশপাশের সবাই আমাকে ‘মডেল’, ‘নায়িকা’ বলে ডাকত। তখন আমরা মতিঝিলের রেলওয়ে অফিসার্স কলোনিতে থাকতাম। গানের ক্লাসে যাওয়ার সময় অনেকে বলত, ‘এই দেখ দেখ, নায়িকা যাচ্ছে।’ মানুষজন মনে হয় ওই বয়সে আমার মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছে যে আমি যেন বড় হয়ে অভিনয় পেশা বেছে নিই (হাসি)।