৫০ এ স্বপ্নপূরণ সামান্থার
৪৯টি ছবিতে মেলেনি। স্বপ্নটা অধরাই থেকে গেছে। তেলেগু অভিনেত্রী সামান্থা আক্কিনেনির সেই স্বপ্ন পূরণ হলো ৫০তম ছবিতে। ইচ্ছা ছিল ঐতিহাসিক কিংবা কিংবদন্তিতুল্য কোনো চরিত্রে অভিনয়ের। সেই সুযোগ এল এবার। ‘শকুন্তলাম’ ছবিতে শকুন্তলারূপে দেখা যাবে সামান্থাকে।
কালীদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলম বিখ্যাত সাহিত্য। সেটি বিভিন্ন ভাষায় রূপান্তরিত হয়ে মানুষের কাছে সমাদৃত হয়েছে। আর শকুন্তলা বিখ্যাত চরিত্র হয়ে আছে উপমহাদেশে। সেই চরিত্রেই দেখা যাবে সামান্থা আক্কিনেনিকে। একদিকে ক্যারিয়ারের ৫০তম ছবি, অন্যদিকে স্বপ্নপূরণ—সামান্থা আনন্দিত, রোমাঞ্চিত, উচ্ছ্বসিত।
‘৫০তম চলচ্চিত্রে অভিনয়ের যাত্রায় বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্র ও বিভিন্ন ধরনের ছবিতে অভিনয় করেছি। এমনকি অ্যাকশন দৃশ্য করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি দ্য ফ্যামিলি ম্যান ছবিতে। খল চরিত্রেও দেখা গেছে আমাকে। কিন্তু আমার স্বপ্ন ছিল ঐতিহাসিক ছবিতে কিংবা কোনো রাজকুমারীর চরিত্রে অভিনয়ের।’ ছবির মহরতে এভাবেই নিজের উচ্ছ্বাস জানালেন সামান্থা।
শৈশবে মন খারাপ থাকলে ডিজনির ছবি দেখতেন সামান্থা। সেখানে অ্যানিমেশনে প্রাণ পাওয়া রাজকুমারীদের ভালো লাগত তাঁর। রাজকুমারীরূপে নিজেকে দেখতে সে সময়ই আশা জেগেছিল। তিনি বলেন, ‘ক্যারিয়ারের এই সময়ে দিল রাজু (প্রযোজক) ও গুনা (পরিচালক) স্যারকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে সেরা উপহার দেওয়ার জন্য। ১০ বছর সিনেমাতে আছি। আজ আমি সেই চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছি, এত দিন ধরে যার স্বপ্ন দেখে এসেছি। আশা করছি, শতভাগ ঢেলে দিয়ে কাজ করতে পারব।’
ছবিটি রচনা ও পরিচালনা করছেন গুনাশেখর, প্রযোজনায় দিল রাজু।
সামান্থার বিপরীতে দেব মোহনকে দেখা যাবে রাজা দুষ্মন্তের চরিত্রে। সামান্থাকে শকুন্তলা চরিত্রে পছন্দ করতে নানা দিক থেকেই অনুরোধ পেয়েছিলেন গুনাশেখর। তিনি বলেন, ‘শকুন্তলা চরিত্রে কে অভিনয় করবে, এ নিয়ে বেশ কৌতূহল ছিল। যখন ছবির নাম ঘোষণা করা হয়, তখন শকুন্তলা চরিত্রের জন্য সবাই সামান্থাকে নিতে অনুরোধ করেন। এই চরিত্রের জন্য যে ধরনের “ইনোসেন্স” দরকার ছিল, তার সবটুকুই আছে সামান্থার মধ্যে।’
প্যান-ইন্ডিয়ান ছবি শকুন্তলাম প্রযোজনা করছে গুনাশেখরের মেয়ে নীলিমা গুনাও। ছবির শুটিং শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস