সুশান্তর অপমৃত্যু: আরও ছয়জন গ্রেপ্তার
ভারতের পর্যটন এলাকায় অভিযান চালান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর সদস্যরা। তাঁদের অভিযানে চলমান মামলাসংশ্লিষ্ট আরও ছয়জন ধরা পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে বলিউডের একজনসহ বেশ কিছু নামকরা খেলোয়াড়ও আছেন। রিয়া চক্রবর্তীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের। এখন পর্যন্ত সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো।
আজ থেকে বরাবর তিন মাস আগের কথা। ১৪ জুন, রোববার। দুপুরে বান্দ্রায় নিজ ফ্ল্যাট থেকে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর কেটে গেছে ৯০ দিনেরও বেশি। ঘটনা যে ডালাপালা মেলল, তা বাড়ছে তো বাড়ছেই। অপমৃত্যুর রহস্য ক্রমেই বাড়ছে। মামলার তদন্তও নানা দিকে মোড় নেয়। তদন্তে নেমে মাদকের সন্ধান পায় ভারতের গোয়েন্দা পুলিশ। সুশান্তের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। সর্বশেষ সে তালিকায় যোগ হয়েছেন আরও ছয়জন।
গত শনিবার ভারতের পর্যটন এলাকায় অভিযান চালান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর সদস্যরা। পুলিশের সহযোগিতায় তাঁদের অভিযানে চলমান মামলাসংশ্লিষ্ট আরও ছয়জন ধরা পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে বলিউডের একজনসহ বেশ কিছু নামকরা খেলোয়াড়ও আছেন। রিয়া চক্রবর্তীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো। মাদক পাচারকারী জায়েদ ভিলেট্রা, আবদুল বাসেত পরিহার, কাইজান ইব্রাহিম, করণ আরোরা, আব্বাস লাখানি ও অনুজ কেশওয়ানিকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে তারা। অরোরা, লাখানি ও ইব্রাহিম জামিনে মুক্তি পেয়ে গেলেও জেলে আছে রিয়া, শৌভিকসহ অন্যরা। একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম প্রতিবেদন করেছে, একই মামলায় বলিউডের তিনজন জনপ্রিয় অভিনেত্রীও গ্রেপ্তার হতে পারেন শিগগিরই
এর আগে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন অঞ্চলে তল্লাশি চালিয়ে আধা কেজি গাঁজাসহ ডোইন অ্যান্টনি ফার্নান্দিজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয় অঙ্কুশ অরেঞ্জাকে। বলা হচ্ছে, নিষিদ্ধ মাদকের প্রধান হোতা তিনি। বিনোদনজগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই ব্যক্তিই ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের মাদক সরবরাহ করতেন।
জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদে তিন শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী ও এক জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনারের নাম উঠে এসেছে। তাঁরা সবাই সুশান্তের সঙ্গে বসে মাদক নিতেন বলে জানিয়েছেন রিয়া। তাঁদের মধ্যে একজন সুশান্তের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অন্যজন রিয়ার পরিচিত। এমনকি মাদক কিনতে সুশান্তের সঙ্গে টাকাপয়সার লেনদেনও হয় তাঁদের। এদিকে ভাই শৌভিক দাবি করেছে, শুধুমাত্র মাদক লেনদেনের জন্যই স্যামুয়েলকে আলাদা করে বেতন দিতেন সুশান্ত! মাত্র একবারই তাঁর বোন রিয়া সুশান্তের কার্ড ব্যবহার করেছিলেন।