শোভাবর্ধনের জন্য চেহারা দেখাব না: সোনম
বলিউড তারকা সোনম কাপুরকে নিয়ে বাবা অনিল কাপুরের নিশ্চয়ই অনেক গর্ব। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই তারকা বিশ্ব ফ্যাশন আইকনদের একজন। ২০০৭ সালের ‘সাওয়ারিয়া’ থেকে শুরু করে ‘দিল্লি সিক্স’, ‘রানঝানা’, ‘নীরজা’, ‘আয়েশা’, ‘খুবসুরত’, ‘সঞ্জু’—এক যুগে তাঁর ঝুলিতে সফল ছবির সংখ্যা কম নয়।
তবে এক যুগে ২১টি ছবিতে অভিনয় করা এই শিল্পীকে সবচেয়ে বেশি পুরস্কার আর সম্মাননা এনে দিয়েছে ‘নীরজা’। ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ছবিটি মুক্তির পর সাড়া জাগায় চলচ্চিত্র মহলে। মাত্র ২০ কোটি রুপি খরচ করে বানানো ছবিটি বক্স অফিসে তুলে আনে ১৩৫ কোটি ৫২ লাখ রুপি। দুটি জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও জড়ো করে অসংখ্য দেশি আর আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ৬২তম ফিল্মফেয়ারে ‘নীরজা’ পেয়েছে ছয়টি পুরস্কার। ছবিটি বিমানবালা নীরজা ভানোতের ওপর নির্মিত।
১৯৮৬ সালে মুম্বাই থেকে করাচি হয়ে নিউইয়র্কের পথে যাত্রা করে প্যান অ্যাম সেভেনটি থ্রি বিমানটি। কিন্তু পাকিস্তানি জঙ্গি বাহিনী যাত্রীদের জিম্মি করে বিমানটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। তখন নীরজার বয়স ২২। তিনিই বিমানচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের সবার আগে সতর্ক করেন। খুলে দেন বিমানের জরুরি নির্গমনের পথ। অসীম সাহসিকতার সঙ্গে নিজে জীবন দিয়ে তিনি বাঁচিয়েছেন সাড়ে তিন শতাধিক যাত্রীর জীবন।
২৩তম জন্মদিনের তখন বাকি ছিল মাত্র তিন দিন। সবকিছু ভুলে আকাশে উড়াল দিতে ঘর ছাড়েন নীরজা ভানোত। কিন্তু সেই উড়াল তাঁকে নিয়ে যায় অন্য এক পৃথিবীতে। যেখানে সব ভয়কে জয় করে নীরজা অমর হয়ে থাকেন ভারতের ইতিহাসে।
তাই ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঘুরেফিরে আসে ‘নীরজা’র কথা। এই ছবি নিয়ে সোনম কাপুর বলেন, ‘ভয় এড়িয়ে যাওয়া কোনো সমাধান নয়। যদি কেউ ভয়ের মোকাবিলা করতে পারে, তাহলে সে আরও সাহসী হয়ে উঠবে। এটাই সাহসী হওয়ার সহজ উপায়।’
চলচ্চিত্রে চরিত্র নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কেউ মূল চরিত্র ছাড়া কিছু বোঝেন না। অনেকে আবার শিল্পীদের অভিনেতা, সহ-অভিনেতা—এসব ভাগে ফেলতে রাজি নন। তাঁদের মতে, সবাই শিল্পী, সবাই সমান। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন চরিত্রের গভীরতার ওপর। যেমন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। মাত্র দুটি বা তিনটি সংলাপ দিয়েও একাধিক ছবিতে তাঁর অভিনয় অমরত্ব পেয়েছে। ছোট দৈর্ঘ্যের চরিত্র দিয়েও তিনি ছাপিয়ে গেছেন মূল চরিত্রকে। বিশেষ করে ‘মাসান’ আর ‘নিউটন’ ছবির কথা তো বলতেই হয়।
সোনমেরও তা-ই বিশ্বাস। ফিল্মফেয়ারকে সোনম বলেন, ‘আমি চরিত্রের দৈর্ঘ্যে বিশ্বাসী নই। তবে আমি সিনেমায় শোভাবর্ধনের জন্য চেহারা দেখাতে রাজি নই। আমি চাই, আপনি যেন হল থেকে বের হয়ে “দিল্লি সিক্স” ছবির বিট্টু শর্মা বা “প্যাডম্যান” ছবির পরী ওয়ালিয়াকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে বাড়িতে ফেরেন।’
৩৪ বছর বয়সী এই তারকা কারিনা কাপুরের সঙ্গে ‘ভিড়ে ডি ওয়েডিং’ ছবির অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, ‘এই ছবি করে আমার মনে হয়েছে, আমার আর কারিনার একসঙ্গে আরও ছবি করা উচিত। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ। তিনি আমার ক্যারিয়ারের সেরা সহকর্মী।’