তৈমুরকে নিয়ে কারিনার সিদ্ধান্তে নাখোশ সাইফ
পারিবারিক প্রথা মেনে তৈমুর আলী খানও পড়বে ইংল্যান্ডের বোর্ডিং স্কুলে। সেখানেই পড়েছেন তার দাদা মনসুর আলী খান পতৌদি, বাবা সাইফ আলী খান, ফুফু সাবা ও সোহা আলী খান, বড় বোন সারা আলী খান ও ভাই ইবরাহিম আলী খান। ডেকান ক্রনিকলের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
এই পরিবারের কাছের এক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, পতৌদি পরিবারে এমনটাই হয়ে আসছে। সাইফ আলী খানের বাবা প্রয়াত মনসুর আলী খান পতৌদি ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর সন্তান সাইফ আলী খানের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সাবা আর সোহাও সেখানে পড়েছে। সাইফ ও অমৃতার দুই সন্তান সারা আর ইবরাহিমও সেখানে পড়াশোনা করেছেন। আর এবার তৈমুরের পালা।
তবে শিগগিরই তৈমুরকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হবে না। দেরি আছে। সে জন্য তৈমুরের বয়স কমপক্ষে ১২ হতে হবে।
আরেকটা খবর হচ্ছে তৈমুরের বাবা বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের এই পারিবারিক সিদ্ধান্তে একটু মন খারাপ। তৈমুর তাঁর চোখের মণি। তৈমুরকে তিনি চোখের আড়াল করতে চান না। তাই পারিবারিক প্রথা হলেও এই সিদ্ধন্তে তাঁর তেমন সায় নেই।
সূত্র আরও জানিয়েছে, সাইফ না, মা কারিনা কাপুর খানই সন্তানকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠাতে অধিক আগ্রহী। এই মা মনে করেন, তাঁর সন্তানের ওপর যে পরিমাণ মিডিয়ার মনোযোগ, তা মোটেও ভালো নয়। তাই মিডিয়ার চোখকে ধুলা দিতে হলেও সন্তানকে দূরে পাঠাতে চান তিনি।
কিন্তু সাইফের আবার অন্য কথা। তাঁর সংকট ‘বলিউডের বাদশাহ’ শাহরুখ খানের মতোই। শাহরুখ যেমন তাঁর প্রথম দুই সন্তানের বড় হওয়া ‘টের পাননি’, অ্যাকশন আর কাটের বাইরে খেয়ালই করতে পারেননি, সাইফেরও তা–ই। তাই শাহরুখের মতো সাইফও চান তাঁর ছোট সন্তানের বেড়ে ওঠার সাক্ষী হতে। শুটিং শেষে ঘরে ফিরে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতে। তাঁর সন্তানের বড় হওয়ায় নিজেকে যুক্ত রাখতে।