চলে গেলেন রমেশ দেও
চিরবিদায় জানালেন হিন্দি ও মারাঠি ছবি দুনিয়ার প্রবীণ ও জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী রমেশ দেও। ৯৩ বছর বয়সী এই অভিনেতা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে ছায়াছবির দুনিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে বিনোদনজগতের তারকারা শেষশ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
অভিনেতা রমেশ দেও মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন আম্বানি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। রমেশ দেওর ছেলে অভিনেতা আজিঙ্কা দেও তাঁর বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কয়েক দিন আগেই এই অভিনেতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়।
১৯৫৫ সালে রমেশ দেও অভিনয়জীবন শুরু করেন। তাঁর অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি ছিল রাজশ্রী প্রোডাকশনের ‘আরতি’।
রমেশ তাঁর অভিনয়জীবনে অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না, শত্রুঘ্ন সিনহার মতো তারকাদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২৮৫টি হিন্দি, ১৯০টি মারাঠি ও ৩০টি নাটকে কাজ করেছেন। শুধু তা-ই নয়, রমেশ দেও বেশ কিছু ছবি, টেলিভিশন ধারাবাহিক, আর ২৫০টির বেশি বিজ্ঞাপনচিত্র প্রযোজনা করেছেন। রমেশ দেওর স্ত্রী সীমা দেও একজন নামজাদা অভিনেত্রী। তিনি বেশ কিছু হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। স্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে বেশ কিছু হিট ছবিতে দেখা গেছে।
গত মাসে এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে রমেশ দেওকে দেখা গেছে। এই অনুষ্ঠানে তিনি ১০০ বছর বাঁচার কথা বলেছিলেন। জীবনের প্রতি তাঁর সব সময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। রমেশ দেও ‘সোনে পে সুহাগা’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘আনন্দ’, ‘ঘরানা’, ‘গোরা’, ‘কুদরত কা কানুন’, ‘দিলজলা’, ‘শের শিবাজি’, ‘প্যায়ার কিয়া হ্যায় প্যায়ার করেঙ্গে’-র মতো হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। একাধিক পুরস্কারে তাঁকে সম্মানিত করা হয়েছে। ২০১৩ সালে মহারাষ্ট্রের পুনেতে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ রমেশ দেওকে ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। মহান এই অভিনেতার প্রতি মাধুরী দীক্ষিত, ঊর্মিলা মাতন্ডকর, মধুর ভান্ডারকর, অনুপম খের, মহেশ মঞ্জরেকরসহ আরও অনেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।