কারিনা–সাইফদের রাজপ্রাসাদের যা যা আছে
‘তাণ্ডব’ মুক্তির পরই তাণ্ডব সৃষ্টি করেছে অনলাইন আর অফলাইনের দুনিয়ায়। মুক্তির আগেই পাঁচ কোটির বেশিবার দেখা হয়েছে এই সিরিজের ট্রেলার। এই ওয়েব সিরিজের মুখ্য চরিত্রে দেখা দিয়েছেন সাইফ আলী খান।
‘স্যাকরেড গেমস’–এর ধারাবাহিকতায় এবারও তুমুল আলোচনায় সাইফ। ধর্ম অবমাননা, রাজনীতিবিদদের নেতিবাচকভাবে দেখানো নিয়ে বিতর্ক—সব ছাপিয়ে গেছে পতৌদি হাউসের ভেতরে শুটিংয়ের আলাপ। এই সিরিজে কয়েক ঝলক দেখা গেছে বাড়িটির অন্দর মহল। সাইফদের পৈতৃক এই বাড়ি ভারতের সবচেয়ে দামি ঐতিহাসিক প্রাসাদগুলোর একটি। কিছু সময়ের জন্য আলোচনায় সাইফকে পেছনে ফেলেছে পতৌদি প্যালেস। জেনে নেওয়া যাক, কী আছে এই বাড়ির ভেতর।
পতৌদি প্যালেসের দাম কত?
২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পতৌদি প্যালেস ছিল আবাসিক হোটেল। সাইফ আলী খানের বাবা নবাব মনসুর আলী খান পতৌদি বাড়িটি লিজ দিয়েছিলেন ফ্রান্সিস ওয়াচিয়ার্ড আর আমান নাথকে। তাঁরা দুজন ‘নন-হোটেল হোটেল’ থিমের হোটেল চেইন ‘নিমরানা হোটেল’–এর উদ্যোক্তা ও মালিক। দীর্ঘদিন তাঁরা এই রাজবাড়িকে হোটেল বানিয়ে রেখেছিলেন। অনেক কষ্টে সাইফ তাঁর পৈতৃক বাড়িটি ফিরে পেয়েছেন।
সেই সংগ্রামের কথা সাইফ পরবর্তী সময়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেনও। সাইফ বলেন, ‘আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমান আর ফ্রান্সিসই আমাদের বাড়িটা হোটেল বানিয়ে চালাত। আর আমরা মাসে একটা বড় অঙ্কের ভাড়া পেতাম। তবে আমি সব সময়ই বাড়িটা সংরক্ষণ করতে চেয়েছি। ফ্রান্সিস এখন আর নেই। ও মারা যাওয়ার আগে আমাকে বলেছিল, আমি যদি বাড়িটা ফেরত পেতে চাই, তাহলে যেন তাকে জানাই। আমি জানিয়েছিলাম। এ নিয়ে একটা বড় সম্মেলন হয়। সেখানে ঠিক হয়, আমার নিজের বাড়ি ফেরত পাওয়ার জন্য তাদের বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর সেই টাকার অঙ্ক প্রায় এক হাজার কোটি। আমি কিন্তু বাড়িটি কিনিনি। বাড়ি তো আমাদেরই। কেবল তাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসার ক্ষতিপূরণ দিয়ে নতুন করে চুক্তিনামা করেছি।’ তাই পতৌদি প্যালেসের দাম যে ঠিক কত, তা বলা যাচ্ছে না।
১০ একর জমির ওপর অবস্থিত এই রাজপ্রাসাদে রয়েছে ১৫০টি ঘর। বেডরুম ছাড়াও রয়েছে সাতটি সাজঘর, সাতটি বিলিয়ার্ড খেলার ঘর, সুবিশাল মাঠ, ব্যায়ামাগার, বাগানসহ নানা কিছু।
বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়মিত কর্মী রয়েছেন অর্ধশত। বাগানের মালিই রয়েছেন এক ডজন। সাইফ আলী খান, কারিনা কাপুর আর তৈমুর এই বাড়িতে বেড়াতে গেলে কর্মচারীর সংখ্যাও বাড়ে।