২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

অনুরাগের পক্ষে-বিপক্ষে বলি-টালির নারীরা

ঋতুপর্ণা, অনুরাগ কাশ্যপ, তাপসী পান্নু
কোলাজ

পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে টুইটারে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন পায়েল ঘোষ। সেখানে তিনি ট্যাগ করে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। পায়েলকে সমর্থন জুগিয়ে পাল্টা টুইট করেছেন কঙ্গনা রনৌত। শুধু তা–ই নয়, সেখানে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন হেনস্তার বর্ণনাও দিয়েছেন। এ দুজনকে সমর্থন করে টুইট করেছেন রুপা গাঙ্গুলি। লিখেছেন, ‘আমার ধারণা, তারা যা বলছে, তা সত্য।’

বাঙালি অভিনয়শিল্পী পায়েল টুইটে লিখেছেন, ‘অনুরাগ কাশ্যপ আমাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আপনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। একজন সৃষ্টিশীল মেধাবী নির্মাতার আড়ালে একটা দানব লুকিয়ে আছে। এই দেশের সামনে সেই দানবের আসল চেহারা উন্মোচিত করুন। আমি জানি, আমার ক্ষতি হতে পারে। আমার নিরাপত্তা নিয়েও আমি শঙ্কিত। আমাকে সাহায্য করুন প্লিজ।’

অনুরাগ কাশ্যপে
ইনস্টাগ্রাম

এদিকে অনুরাগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁর সাবেক স্ত্রী কালকি কেঁকল্যা থেকে শুরু করে অসংখ্য বলিউড ও টালিউড তারকা। তাপসী পান্নু অনুরাগকে তাঁর বন্ধু আর তাপসীর জানামতে ‘সেরা ভদ্রলোক’ উল্লেখ করে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘বন্ধু, আমার জানামতে বিশ্বের সবচেয়ে নারীবাদী মানুষ তুমি। তোমার সিনেমায় তুমি যে জগৎটা বানাও, সেখানকার নারীরা অত্যন্ত শক্তিশালী আর তাৎপর্যপূর্ণ। শিগগিরই আবার আমাদের সে রকম আরেকটা শৈল্পিক সেটে দেখা হবে।’

ঋতুপর্ণা ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘“বাঁশুরি” সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করার আগেও অনুরাগের সঙ্গে আমার বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে মুম্বাইয়ে। “বাঁশুরি”তে অনুরাগ আমার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছিল। যতবার তার সঙ্গে কথা বলেছি, মনে হয়েছে একজন চিন্তাশীল গুণী নির্মাতার সঙ্গে কথা বলছি, যে তার কাজ নিয়ে খুব সতর্ক আর যত্নবান। তার রসবোধ দুর্দান্ত। আমি এমন অভিযোগে খুবই আশ্চর্য হয়েছি আর দুঃখ পেয়েছি। অনুরাগের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমার কখনো অস্বস্তি লাগেনি।’

ঋতাভরী চক্রবর্তী
ইনস্টাগ্রাম

অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে রীতিমতো রেগে গেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, ‘এই সমস্তই বাজে কথা আর রাজনৈতিক চাল। শুধু অনুরাগের সঙ্গে কাজ করেছি বলে বলছি না, চার বছর মুম্বাইয়ে অনুরাগ আমার প্রতিবেশী ছিল। তার মতো মানুষ হয় না। যে অভিযোগ এসেছে, সে একেবারে উল্টো ধরনের মানুষ। আমি তো একদল মেয়েকে নিয়ে তার সঙ্গে কাজ করেছিলাম, সবাই ফিরে এসে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এ কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে, একসময় অনুরাগের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই ভেঙে গেল “মি টু” কেসে। এক অখ‌্যাত নারীর পাশে দাঁড়াতে গিয়ে। তখন এই পায়েল কোথায় ছিলেন?’

ঈশিকা দে বলেন, “‘সেক্রেড গেমস”-এ আমি অনুরাগ কাশ‌্যপের সঙ্গে কাজ করি। শুটিংয়ের সময় সব নারীর প্রতি তিনি অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাঁকে আমার মার্জিত আর ভদ্র মনে হয়েছে, যাঁর দৃষ্টি কখনো আমার মুখ ছাড়িয়ে নিচের দিকে নামেনি। তাঁর সামনে আমি অর্ধনগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছি। অথচ আমার একটুও অস্বস্তি হয়নি।’