চেনা যায় নায়িকা কে? ‘অতিরিক্ত ফর্সা’ হওয়ায় নাকি পিছিয়ে গেছেন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো বিভিন্ন সময়ে শেয়ার করেছেন তিনি। আজ এই তারকার জন্মদিন। চিনতে পেরেছেন? শোনা যায় ‘অতিরিক্ত’ ফর্সা হওয়ায় নাকি কাজ হারিয়েছেন নানা সময়ে। আজ দেখে নিতে পারেন তাঁর কিছু দুর্লভ ছবি। ছবিগুলো তাঁরই ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে সংগৃহীত। দেখুন চেনা যায় কি না–

১ / ২০
অভিনয়ের প্রতি টান সেই শৈশব থেকে। সুযোগ পেলেই স্কুলের নাটকে নাম লেখাতেন। মন দিয়ে ঝালিয়ে নিতেন সংলাপ।
২ / ২০
১৯৮১ সালে হায়দরাবাদে জন্ম। বাবা ফ্র্যাঙ্ক হেন্ড্রিক ছিলেন জার্মান। মা দীপা দেবী বাঙালি।
৩ / ২০
একসময় স্কুলের চেনা মঞ্চ থেকে ফিলিপিনসের ম্যানিলা। ২০০০ সালে মাত্র ১৯-এই জিতে নিয়েছেন ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক’-এর খেতাব।
৪ / ২০
রুপালি পর্দার জগতের আগেই তাঁর কেরিয়ার শুরু হয়ে যায়। কলেজে পড়ার সময় থেকেই তাই চাকরি করেছেন। এক সংস্থার মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ পদে নিযুক্ত ছিলেন বেশ কিছুদিন। তাই ১০টা-৫টার চাকরির পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন মডেলিং।
৫ / ২০
শুধু অভিনেত্রী হিসেবেই নন, প্রযোজক হিসেবেও দেখা গেছে ।
৬ / ২০
২০০০ সালে ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল’ খেতাব জেতার পর বিনোদনজগতে আসেন তিনি।
৭ / ২০
বিভিন্ন নামী সংস্থার মুখ হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি তামিল ছবিতে ‘এক্সট্রা’ও হয়েছেন নিঃসংকোচে। অভিনয়ের সুযোগ খুঁজে চলেছিলেন হন্যে হয়ে।
৮ / ২০
বাবার সঙ্গে ছবিটি নিজেই শেয়ার করেছিলেন তিনি।
৯ / ২০
একাধিক ছবি প্রযোজনা করেছেন তিনি।
১০ / ২০
তিনি দিয়া মির্জা। ২০০১ সালে ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ ছবির হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ। বিপরীতে আর মাধবন। বক্স অফিসে ছবির ভাঁড়া উপচে পড়েনি ঠিকই, কিন্তু প্রশংসিত হয়েছিলেন নবাগতা নায়িকা।
১১ / ২০
অভিনয়ের বাইরে গিয়ে আরও অনেক কাজ করেন দিয়া মির্জা। কবিতা লেখা, পড়া, ঘোড়ায় চড়া, ফটোগ্রাফি এবং আরও অনেক কিছু। কিন্তু তাঁর শখ কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি রান্না করতে খুব ভালোবাসেন। খেতে ও খাওয়াতে তিনি পছন্দ করেন।
১২ / ২০
ফিটনেসের দিকে নজর রাখার সঙ্গে সঙ্গে রসনাতৃপ্তির কথাও মনে রাখেন দিয়া মির্জা। তাই তো তিনি মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি জানিয়ে থাকেন যে চকোলেট থেকে যেকোনো রকমের মিষ্টি তাঁর অত্যন্ত পছন্দের।
১৩ / ২০
একবার দিয়া মির্জাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি বলিউডের কোন অভিনেত্রীর মতো হতে চান। অভিনেত্রী উত্তর দিয়েছিলেন, মধুবালার মতো হতে চান তিনি।
১৪ / ২০
ভেতর ও বাইরে, উভয় দিক থেকে সুন্দর হয়ে উঠতে দিনের শুরুটা তিনি করেন অন্যভাবে। খালি পায়ে মাটিতে হাঁটা থেকে ঘাসের ওপর বসে প্রাণায়াম করা তাঁর প্রতিদিনের অভ্যাস।
১৫ / ২০
পরিবেশের জন্য অনেক কাজ করে থাকেন দিয়া মির্জা। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর হাতে যদি ক্ষমতা থাকত, তাহলে তিনি এই বিশ্বকে প্লাস্টিকমুক্ত করতেন।
১৬ / ২০
২০০০ সালে জিতে নিয়েছেন ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক’-এর মঞ্চে
১৭ / ২০
শোনা যায়, শ্যামবর্ণ হওয়ার কারণে বলিউডে কাজ হারানোর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু দিয়ার ক্ষেত্রে উলটপুরাণ। ‘অতিরিক্ত’ ফর্সা হওয়ায় নাকি অনেক কাজ হাতছাড়া হয়েছে তাঁর! অধরা থেকে গিয়েছে প্রত্যাশিত সাফল্য।
১৮ / ২০
বিতর্ক থেকে আগাগোড়াই নিজেকে দূরে রেখেছেন দিয়া। ব্যক্তিজীবনকে চর্চার খোরাক হতে দেননি সচেতনভাবেই।
১৯ / ২০
২০১৪ সালে বিয়ে করেছিলেন দীর্ঘদিনের প্রেমিক, পেশায় ব্যবসায়ী সাহিল সঙ্ঘকে। পাঁচ বছরের মাথায় সেই সংসার ভাঙে। বিচ্ছেদ হয় সাহিল-দিয়ার। তবে দাম্পত্য ভাঙলেও তাঁদের বন্ধুত্ব এখনো অমলিন।
২০ / ২০
আবার প্রেম আসে দিয়ার জীবনে। ব্যবসায়ী বৈভব রেখির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান নায়িকা। ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেছেন তাঁরা। ২০২১ সালে পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন দিয়া। একরত্তির নাম রেখেছেন অভ্যান আজাদ।