২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

সানি না অক্ষয়, কার পাল্লা ভারী

‘গদর টু’র ট্রেলার মুক্তি অনুষ্ঠানে আমিশা প্যাটেল ও সানি দেওল
প্রযোজনা সংস্থার সৌজন্যে

আজ একই সঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে দুই হিন্দি সিনেমা, ‘গদার টু’ ও ‘ওএমজি টু’। ফিল্মি ময়দানে মুখোমুখি লড়াইয়ে দুই তারকা সানি দেওল ও অক্ষয় কুমার। কোন তারকার ছবি বক্স অফিসে ঝড় তুলবে, তা নিয়ে চলছে জল্পনা–কল্পনা। এই দৌড়ে কে এগিয়ে আছেন, সেটা একটু বিশ্লেষণ করা যাক।

আরও পড়ুন

২২ বছর পর আবার বড় পর্দায় দেখা যাবে তারা-সাকিনার প্রেম। ২০০১ সালে পরিচালক অনিল শর্মা উপহার দিয়েছিলেন ‘গদার: এক প্রেমকথা’। সেবার তারা-সাকিনার চরিত্রে সানি ও আমিশা প্যাটেল সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। আবার দুই প্রজন্মের তারকা জুটি বেঁধে আসছেন। প্রথম কিস্তিতে খলনায়কের চরিত্রে প্রয়াত অমরেশপুরী সাড়া ফেলেছিলেন। সিকুয়েলে অনিল শর্মা এক নতুন খলনায়ককে পরিচয় করিয়ে দেবেন। এ ভূমিকায় দেখা যাবে টেলিভিশন তারকা মনীশ ওয়াধওয়াকে। সানি চান, মনীশের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে আবার পুরোনো ভিলেন সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে।

‘গদার’-এর সিকুয়েল আনতে নির্মাতারা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছেন। কারণ, সানি গোঁ ধরে বসেছিলেন, উপযুক্ত চিত্রনাট্য না পেলে সিকুয়েল করবেন না। অবশেষে নির্মাতা অনিল শর্মার হাতে মনের মতো চিত্রনাট্য এসেছিল। তাই সানিকে রাজি করাতে বেশি সময় লাগেনি।

আরও পড়ুন

মজার বিষয়, ‘গদার’–এ তারা-সাকিনার ছেলে ‘চরণজিৎ সিং’-এর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল উৎকর্ষকে। আবার একই চরিত্রে দেখা যাবে অনিলপুত্র উৎকর্ষকে। তবে সেই উৎকর্ষ আর ছোট নেই, ছবিতে তাঁর নায়িকাও আছে। উৎকর্ষের বিপরীতে আছেন নবাগত সিমরাত কৌর। পরিচালক জানালেন রোমান্স, অ্যাকশন, ড্রামা, মিউজিক—বিনোদনের সব উপাদানই আছে সিকুয়েলে।  

অক্ষয় কুমার অনেক দিন ধরেই হিটের দেখা পান না। তিনি এবার হাজির নিজের সুপার হিট ছবি ওহ মাই গড-এর সিকুয়েল নিয়ে। ছবিটি নিয়েও বেশ আলোচনা চলছে বলিউড পাড়ায়।

‘ওমজিটু’ সিনেমার পোস্টার। আইএমডিবি

১১ বছর আগে অক্ষয় ও পরেশ রাওয়াল অভিনীত ছবি ওহ মাই গড মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবিতে অক্ষয় ছাড়া আছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি ও ইয়ামি গৌতম। ‘ওএমজি টু’ ছবিতে বিনোদনের মোড়কে এক সংবেদনশীল বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে। সেন্সর বোর্ডের এ ছবিটিকে সেন্সর বোর্ড ‘এ’ সার্টিফিকেট দিয়েছে। তাতে হতাশ অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি। তিনি আক্ষেপের সঙ্গে বলেছেন, ছবিটি ১২-১৮ বয়সসীমার ছেলেমেয়েদের দেখা জরুরি ছিল। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের সার্টিফিকেটের কারণে তারা ছবিটি দেখার অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হবে।

এখন পর্যন্ত বক্স অফিসের দৌড়ে সানির ‘গদার টু’ এগিয়ে আছে। অগ্রিম বুকিংয়ের দিক থেকে ছবিটি ওএমজি টু-কে অনেকটাই পেছনে ফেলে দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অগ্রিম বুকিংয়ে ‘গদার টু’ ১০ দশমিক ১১ কোটি রুপি আয় করে ফেলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এই ছবির ১ দশমিক ১০ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার দিল্লিতে ভারতীয় সেনা সদস্যদের জন্য ‘গদার টু’-এর এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। জানা গেছে, ছবিটি দেখার পর ভারতীয় সেনারা আবেগে ভেসেছেন। তাঁদের মতে, ‘গদার’–কেও ছাপিয়ে গেছে এর সিকুয়েল। এমনকি অনেকে তৃতীয় কিস্তি নির্মাণের দাবিও তুলেছেন। বক্স অফিসে জায়গা পেতে ‘ওএমজি টু’-কে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এ ছবিটি অগ্রিম বুকিং থেকে ১ দশমিক ৭২ কোটি আয় করেছে। তবে ওই দুই ছবির অলিখিত লড়াইতে ঢুকে পড়েছে রজনীকান্তের ‘জেলার’। অনেকই মনে করছেন, ‘রজনীকান্ত ম্যাজিক’ সব হিসাব–নিকাশ ওলপালট করে দিতে পারে।