‘প্রতারণা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না’

সানজিদা শেখইনস্টাগ্রাম থেকে

সিদ্ধার্থ আনন্দের ‘ফাইটার’ ছবির পর সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার’ সিরিজে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী সানজিদা শেখ। বড় পর্দা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও ছোট পর্দার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী কথা বলেছেন নিজের ক্যারিয়ার ও অন্যান্য নানা প্রসঙ্গে।

সানজিদা শেখ। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

ইদানীং সাফল্যের মুখ দেখলেও ব্যক্তিগত জীবনে অনেক ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে এ অবস্থানে এসেছেন সানজিদা। আমির আলীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরও মানসিকভাবে শক্ত থেকেছেন তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে মেয়েদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা মেয়েদের নিজের পছন্দ অনুযায়ী চলতে আর তাঁদের স্বপ্নকে ধাওয়া করার শক্তি দেয়। এখানে আমি শুধু অর্থের কথা বলছি না। আমি এখানে মানসিক শক্তি ও আত্মনির্ভরতার কথা বলতে চাইছি।

সানজিদা শেখ। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

আমার এই বিশ্বাস আমার ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনকে এক নতুন গতি দিয়েছে। মেয়েদের জানা প্রয়োজন, তাঁরা নিজেদের এবং তাঁদের আশপাশের মানুষদের দেখভালের জন্য যথেষ্ট।’

একই সাক্ষাৎকারে এই তরুণ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘অনেক মেয়ে যখন তাঁদের ক্যারিয়ারের দিকে মনোনিবেশ করতে চেয়েছেন, তখন তাঁদের বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়। মেয়েরা অনেক সময় বিয়ের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দ অনুযায়ী চলতে পারেন না। আপনি যদি মনের মতো সঙ্গী খুঁজে পান, তাহলে নিশ্চয় বিয়ে করুন।

হীরামন্ডির চার নায়িকা মনীষা কৈরালা, অদিতি রাও হায়দারি, শারমিন সেহগাল ও সানজিদা শেখ। ছবি: এএফপি

একটা বৈবাহিক সম্পর্কে একে অপরকে বোঝা, পাশে দাঁড়ানো এবং প্রশংসা করা জরুরি। কিন্তু কখনোই অসততা সহ্য করা উচিত নয়। একটা সম্পর্কে সততা অত্যন্ত সুন্দর এক দিক। কিন্তু প্রতারণা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।’

আরও পড়ুন

সানজিদা নিজের জীবনের কঠিন সময়ের প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার জীবনের কঠিন সময়ে আমার পরিবার আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সমর্থন আমাকে স্বাভাবিক ও বিনয়ী থাকতে শিখিয়েছে। শিখেছি, চ্যালেঞ্জ মানুষকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। আমি আমার জীবনের প্রতিটি অভিজ্ঞতা থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছি।’

সাক্ষাৎকারে বিনোদন–দুনিয়ায় আসা নবীনদের উদ্দেশেও পরামর্শ দিয়েছেন সানজিদা। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘নিজের সহজাত প্রবৃত্তির প্রতি আস্থা রাখুন আর নিজের প্রতি সৎ থাকুন। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে নতুন সুযোগ হিসেবে দেখুন। জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা তা-ই করি, যেটা আমাদের সঠিক মনে হয়। কিন্তু পরে নিজের মানসিক অবস্থার বদল হলেও আগের সিদ্ধান্তটা ভুল হতে পারে না। ২০ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছি, ৪০ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে সেই সিদ্ধান্ত ভুল ভাবার কোনো মানে হয় না। কারণ, এই বয়সে আমরা অনেক বেশি পরিণত।’