২৯ বছর পর আগে হেরেছিলেন, এবার কি সালমানের সঙ্গে পারবেন সানি

‘ঘাতক’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

কাশিনাথ বেনারসের বাসিন্দা। তিনি ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামী। তাঁর পালকপুত্র শম্ভুনাথ। চিকিৎসার জন্য শম্ভুকে নিয়ে মুম্বাই আসেন কাশি। ওঠেন এক কলোনিতে, সেখানে কাশির সঙ্গে ভাব হয় গৌরীর। তবে এর পরেই আসে উটকো বিপদ। মুম্বাইয়ের সেই কলোনি তখন কুখ্যাত গ্যাংস্টার কাটিয়ার নিয়ন্ত্রণে। দ্রুতই কাশির আর কাটিয়া মুখোমুখি হয়। এমন গল্প নিয়ে রাজকুমার সন্তোষীর সিনেমা ‘ঘাতক’ ১৯৯৬ সালে মুক্তির পর সুপারহিট হয়েছিল। ২১ মার্চ আবারও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।

‘ঘাতক’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

ভারতের বক্স অফিসে আয়ের নিরিখে ১৯৯৬ সালে ‘ঘাতক’ ছিল চতুর্থ আয় করা হিন্দি সিনেমা। ৪৫ কোটি রুপি আয় নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে ছিল আমির খান অভিনীত ‘রাজা হিন্দুস্তানি’, ১৯ কোটি ৮৫ লাখ রুপি আয় নিয়ে দুইয়ে ছিল ‘অগ্নিসাক্ষী’। তিনে ছিল সানি দেওল ও সালমান অভিনীত ‘জিত’। এ ছবির আয় ১৬ কোটি ৫ লাখ রুপি। ১৫ কোটি ৭৫ লাখ রুপি আয় নিয়ে চারে ছিল ‘ঘাতক’। ভারতের বাইরেও দুর্দান্ত ব্যবসা করেছিল ‘ঘাতক’। সারা দুনিয়ার বক্স অফিসের হিসাব করলে ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করা হিন্দি সিনেমা ছিল এটি।

‘ঘাতক’ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র কাশিনাথ হিসেবে পর্দায় দেখা গিয়েছিল সানি দেওলকে। এবার নতুন করে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে, আবার আলোচনায় সানি ও সালমান খানের ‘বক্স অফিস লড়াই’। কারণ ‘ঘাতক’ মুক্তির পরের সপ্তাহেই মুক্তি পাচ্ছে সালমান খানের ঈদের সিনেমা ‘সিকান্দার’।

‘ঘাতক’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

নতুন সিনেমার সঙ্গে পুরোনো সিনেমার তুলনা আপাতদৃষ্টে বিস্ময়কর মনে হতে পারে। কিন্তু সালমান খানের সাম্প্রতিক বক্স অফিস ব্যর্থতা আর সানি দেওলের দুর্দান্ত ফর্ম এই তুলনায় বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। এ ছাড়া গত কয়েক মাসে নতুন করে মুক্তি পাওয়া পুরোনো হিন্দি সিনেমাগুলো অনেক বড় বড় ছবিকে বক্স অফিসে টেক্কা দিয়েছে।
১৯৯৬ সালে ‘ঘাতক’ বক্স অফিসের আয়ে ‘জিত’-এর কাছে হেরে গিয়েছিল; ২৯ বছর পর সানি কি পারবেন সালমানকে হারাতে?

১৯৯৬ সালে মুক্তির পর ‘ঘাতক’ কেবল হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নয়, পুরো ভারতজুড়েই আলোচিত হয়। নায়ক চরিত্রে সানি দেওলের অভিনয়, খলনায়ক হিসেবে ড্যানি ডেনজংপার পারফরম্যান্স; গল্প আর চিত্রনাট্য মিলিয়ে সমালোচকদেরও প্রশংসা পায় সিনেমাটি। পরে তেলেগু রিমেকও হয় ‘ঘাতক’-এর।

এ ছবিতে অভিনয়ের পর সানি দেওল ব্যাপক প্রশংসা পেলেও অনেকে জানেন না, ‘ঘাতক’-এ তাঁর অভিনয়েরই কথা ছিল না। শুরুতে এ ছবিতে চূড়ান্ত ছিলেন কমল হাসান। এক যুগ পর হিন্দি সিনেমায় ফিরছেন কমল—এমন শিরোনামও করেছিল অনেক গণমাধ্যম। তবে কমলকে নিয়ে কোনো প্রযোজকই আগ্রহ দেখাননি। তাই নির্মাতা রাজকুমার হিরানি বাধ্য হয়ে শিল্পী পরিবর্তন করে সানি দেওলকে নেন।
সিনেমার মতো এর গানগুলোই হিট হয়। এ ছবির গানগুলো সুর করেছিলেন আর ডি বর্মন।

আরও পড়ুন

৪২তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসে তিনটি পুরস্কার জিতেছিল ‘ঘাতক’।