বাঙালি মেয়েতে মুগ্ধ জেনেলিয়া
দীর্ঘ বিরতির পর হিন্দি সিনেমার ময়দানে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামছেন জেনেলিয়া দেশমুখ। অবশ্য কিছুদিন আগেই মারাঠি ছবির ময়দানে দুরন্ত ইনিংস খেলেছেন এই অভিনেত্রী। ভেদ-এর মতো ব্লকবাস্টার মারাঠি ছবি উপহার দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এখনো তিনি ফুরিয়ে যাননি। এবার জিওসিনেমার পর্দায় আসছে জেনেলিয়া অভিনীত পারিবারিক-হাসির ছবি ‘ট্রায়াল পিরিয়ড’।
ছবিতে দিল্লিতে বসবাসকারী এক বাঙালি সিঙ্গেল মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন জেনেলিয়া। এই ছবির চরিত্রের সূক্ষ্মতা অনুভব করার জন্য তাঁকে এক লম্বা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেনেলিয়া এক বিবৃতিতে এই ছবি প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এর আগে আমি কখনো বাঙালি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করিনি। বাঙালি মেয়েরা সব সময়ই আমাকে মুগ্ধ করেছে। তারা শুধু রূপসীই নয়, মানসিকভাবেও খুব শক্তিশালী।’
একটা ছবিকে সব সময় সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখেন জেনেলিয়া। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এতে আমি অনেক কিছু শিখতে পারি, জানতে পারি।’ নিজের চরিত্রের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘এই ছবিকে ঘিরে (পরিচালক) আলেয়া সেনের চিন্তাভাবনা স্বচ্ছ ছিল। আলেয়া কী চান, এ ব্যাপারে তাঁর ধারণা খুবই স্পষ্ট ছিল। শারীরিক ভাষা, অভিব্যক্তি সবকিছু তিনি স্বাভাবিক চাইতেন। আর এ ব্যাপারে তিনি খুবই খুঁতখুঁতে ছিলেন।’
ছবিতে বেশ কিছু বাংলা শব্দ বলেছেন তিনি। তাঁর ভাষায়, ‘এ ছবিতে আমার অভিনীত চরিত্রটা দিল্লির, আর সে শহুরে বাঙালি নারী। তাই আমাকে “হিংলিশ” ব্যবহার করতে হয়েছে বেশি।’
ছবিতে তাঁর লুক নিয়ে পরিচালক আলেয়া ও কারিশমা গুলাটি (পোশাক প্রস্তুতকারক) কয়েক মাস ধরে কাজ করেছেন। লুক নিয়ে জেনেলিয়া নিজেও তাঁদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর মতে, চরিত্রটাকে পর্দায় যথাযথভাবে তুলে ধরতে লুক সঠিক হওয়াটা জরুরি। কোনো ছবিতে অভিনেতার লুকেই তাঁর অর্ধেক অভিনয় হয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় পর্দায় নিজেকে চটকদার দেখানোর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো চরিত্রের সৌন্দর্যকে যথাযথভাবে মেলে ধরা। পর্দায় আমরা নিজেদের সুন্দর দেখানোর চক্করে অনেক সময় চরিত্রটাকে ভুলে যেতে বসি।’
২১ জুলাই জিওসিনেমাতে মুক্তি পাবে ‘ট্রায়াল পিরিয়ড’। জেনেলিয়া ছাড়াও এই ছবিতে আছেন মানব কল, গজরাজ রাও, শক্তি কাপুরের মতো অভিনেতারা।