আবার তারা-সাকিনা
প্রবল বর্ষণে ভাসতে বসেছে মায়া নগরী মুম্বাই। তারই মাঝে বুধবার রাতে অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে মুম্বাইয়ের এক মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পেল ‘গদর টু’র ট্রেলার। ২২ বছরের অপেক্ষা শেষে বড় পর্দায় আসছে ‘গদর: এক প্রেমকথা’র এই সিকুয়েল। আবার তারা-সাকিনার প্রেমের সাক্ষী হবেন দর্শক। ট্রাকে করে ট্রেলার মুক্তির আসরে প্রবেশ করেছিলেন এই ছবির দুই মূল আকর্ষণ সানি দেওল ও আমিশা প্যাটেল।
ট্রাক থেকে নেমে একে অপরকে উষ্ণ আলিঙ্গন করে বুঝিয়ে দিলেন আজও অমলিন তারা-সাকিনার প্রেম। পরে নাগাঢ়ার তালে ভাংরা নাচে মত্ত হন এই রোমান্টিক জুটি। সব মিলিয়ে রঙিন হয়ে ওঠে এই রাত।
সানি–আমিশা ছাড়াও ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছবির পরিচালক অনিল শর্মা, দুই অভিনেতা উৎকর্ষ শর্মা ও সিমরত কাউর। ছবিতে তারা-সাকিনার ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অনিল শর্মার ছেলে উৎকর্ষ।
এই ছবিতেও তাঁকে তারা-সাকিনার ছেলে চরণজিৎ সিংয়ের ভূমিকায় দেখা যাবে। ট্রেলার মুক্তির পর উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে সানি দেওল বলেন, ‘গদর’ ছবির সিকুয়েল বানানো নিয়ে তিনি দ্বিধায় ছিলেন। এই বলিউড অভিনেতা বলেন, ‘মানুষ “গদর: এক প্রেমকথা” ছবিকে এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাই গদর টু নির্মাণ নিয়ে ভয়ে ছিলাম। এমন একটা ছবিকে না ছোঁয়াই উচিত বলে মনে হয়েছিল। যদি আগের ছবির উচ্চতায় পৌঁছাতে না পারি। কিন্তু চিত্রনাট্য শোনার পর রাজি হয়ে যাই। আমার বিশ্বাস, এই ছবিও সাড়া ফেলবে।’
এদিন ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে ‘গদর: এক প্রেমকথা’কে ঘিরে তাঁর স্মৃতি মেলে ধরেন আমিশা প্যাটেল।
বলিউড অভিনেত্রী বলেন, ‘মুক্তির আগে অনেকে গদরকে গটর (নর্দমা) বলেছিলেন। এই ছবির আগে আমি হৃতিকের (রোশন) সঙ্গে দুটি আর সালমানের (খান) সঙ্গে একটা ছবিতে কলেজছাত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলাম। আর তাই “গদর”–এ মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু আমি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলাম।’
আমিশা আরও বলেন, ‘সিকুয়েলের ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। আমার ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেখার পর অনেকের বিশ্বাস হয়নি। অনেকে প্রশ্ন করেছেন, ২২ বছরের ছেলের মায়ের ভূমিকায় আমি কেমন করে অভিনয় করব। কিন্তু আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি।’
অনিল শর্মা পরিচালিত ছবিটি আগামী ১১ আগস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পাবে।