৮১-এ তরুণ অমিতাভ

অমিতাভ বচ্চনছবি: টুইটার

আজ অমিতাভ বচ্চন বয়সের ক্যালেন্ডারে ৮০ পেরিয়ে ৮১-এ পা রাখলেন। আগে প্রতি জন্মদিনে বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন ছেলেকে উৎসর্গ করে একটা করে কবিতা লিখতেন। ২০০৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর থেকে অমিতাভ বচ্চন আলাদা করে নিজের জন্মদিন পালন করেন না। কেবল এক থালা ফল খেয়ে কাটিয়ে দেন দিন।

বলিউডের শাহেনশাহ
এই দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, সে জন্য তিনি খুবই সন্তুষ্ট। তিনি জীবনভর কেবল সুস্থ আর জ্ঞানী থাকতে চেয়েছেন। আর এই বয়সে এসেও সেটা পেরেছেন।

যেকোনো চরিত্রে ফিট
৬৭ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে অমিতাভ বচ্চন ১২ বছরের শিশুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সারা শরীরে, মুখে প্রসথেটিক্স মেকআপ লাগিয়ে হয়েছেন প্রজেরিয়া নামক বিরল রোগে আক্রান্ত এক পুত্র। এই ছবিতে অভিষেক বচ্চন অমিতাভ বচ্চনের বাবা।

১৯৭৩ সাল থেকে ঘর করছেন অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন দম্পতি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘১০২ নট আউট’ ছবিতে ৭৬ বছর বয়সে তিনি ১০২ বছর বয়সী চরিত্র করেছেন। আর ছবিতে ঋষি কাপুরের বয়স ৭৬। সম্পর্কে অমিতাভ বচ্চনের ছেলে। ‘ব্ল্যাক’ ছবিতে তাঁর অভিনয়কে বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অভিনয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এভাবেই তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন, বয়সের দোহাই দিয়ে তাঁকে কোনো চরিত্রের ভেতর আটকে ফেলা যাবে না।

এই বয়সেও অ্যাকশন
বয়স বেড়েছে বলে কি অ্যাকশনকে মুখের ওপর না করে দেবেন? অমিতাভ বচ্চন তা করেননি। ‘বিরুদ্ধ: ফ্যামিলি কামস ফার্স্ট’ ছবিতে তিনি দুষ্টু লোকদের পিটিয়ে তক্তা বানিয়েছেন। রক্ষা করেছেন নিজের পরিবারকে। আবার আসছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে একাধিক অ্যাকশন দৃশ্যে। আর দর্শকের চোখও পাবে ভিন্ন কিছুর স্বাদ।

নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ‘রস’ গল্প অবলম্বনে ১৯৭৩ সালে নির্মিত হিন্দি চলচ্চিত্র ‘সওদাগর’-এ অমিতাভ বচ্চন। এ ছবিতে দারুণভাবে ফুটে উঠেছে পুরুষের মনস্তত্ত্ব
ছবি: সংগৃহীত

বক্স অফিস মাতানো অভিনেতা
এখনো যেকোনো অভিনয়শিল্পীর জন্য বড় হুমকি অমিতাভ বচ্চন। যেকোনো তরুণ অভিনয়শিল্পীকে বক্স অফিসে টেক্কা দিতে প্রস্তুত তিনি। মাত্র ১০ কোটি রুপি খরচ করে বানানো ‘বদলা’ ছবিটি সবাইকে অবাক করে দিয়ে বক্স অফিসে তুলে এনেছে ১৩৮ কটি রুপি। আর সেই কৃতিত্বের একটা বড় অংশের দাবিদার অমিতাভ বচ্চন।

‘সওদাগর’ সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন ও পদ্মা খান্না
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোকা অমিতাভ
ভারতে যেসব তারকাকে টুইটারে (এক্স) সবচেয়ে বেশি মানুষ অনুসরণ করে, তাঁদের মধ্যে অমিতাভ বচ্চন অন্যতম। সেখানে তাঁর সক্রিয়তা অনেক তরুণকেও হার মানাবে। সময় পেলেই টুইটারে টুংটাং করেন অমিতাভ বচ্চন। ইনস্টাগ্রামেও তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা একেবারে কম নয়। অমিতাভ বচ্চন এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিদিনই কিছু না কিছু কনটেন্ট শেয়ার করছেন। আর এসব জায়গায় উঁকি দিলে তাঁর সম্বন্ধে প্রায় সবকিছুই পাওয়া যায়।