মুম্বাইয়ের রাজা কে, প্রশ্ন মনোজের

মনোজ বাজপেয়িঅভিনেতার ইনস্টাগ্রাম থেকে

নব্বইয়ের দশকে বলিউডে রোমান্টিক, অ্যাকশনধর্মী নানা ধরনের সিনেমা হচ্ছিল। এর অনেকগুলোই ছিল ‘অতি অভিনয়’ আর ‘বাস্তবতাবিবর্জিত’ দোষে দুষ্ট। তবে ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সত্য’ বদলে দেয় হিন্দি সিনেমার চেনা চিত্র। ক্রাইম ঘরানার এই সিনেমায় মুম্বাইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডের যে বাস্তব চিত্র উঠে এসেছিল, তা ‘সত্য’-এর আগে খুব কম ছবিতেই দেখা গেছে।

বিনোদনের অনেক উপাদান মজুত, সঙ্গে শৈল্পিক নির্মাণ—পরে তাই সর্বকালের সেরা হিন্দি সিনেমাগুলোর একটির স্বীকৃতি পেয়েছে ছবিটি। ৩ জুলাই ‘সত্য’ মুক্তির ২৬ বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে সিনেমাটির কিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী লিখেছেন, ‘মুম্বাইয়ের রাজা আসলে কে?’ খবর মুম্বাই মিররের

আরও পড়ুন

নিজের দেওয়া পোস্টে ‘সত্য’ ছবির বিভিন্ন স্থিরচিত্র পোস্ট করেন মনোজ। ছবিটি মুক্তির ২৬তম বার্ষিকীতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে অভিনেতাকে।

‘সত্য’ সিনেমার দৃশ্যে মনোজ
আইএমডিবি

তাঁর পোস্টের নিচে অনেক ভক্ত-অনুসারীই মনোজকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কেউ আবার সিনেমাটি নিয়ে তাঁদের ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন। কেউ আবার ভেসেছেন নস্টালজিয়ায়।

গ্রাম থেকে আসা এক তরুণের মুম্বাইয়ের অপরাধজগতে জড়িয়ে পড়ার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘সত্য’। ছবিটির পরিচালক যে ভারতের অন্যতম সেরা নির্মাতাদের একজন—রামগোপাল ভার্মা, সে কথা এত দিনে অনেকেই জেনে গেছেন।

‘সত্য’ সিনেমার দৃশ্য
আইএমডিবি

ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোয় অভিনয় করেন মনোজ বাজপেয়ী, ঊর্মিলা মাতন্ডকর, সৌরভ শুক্লা প্রমুখ। তবে ‘ভিকু মহাত্রে’ চরিত্রে অভিনয় করে মনোজ বাজপেয়ীর অভিনয়–ক্যারিয়ার পুরোপুরি বদলে যায়। আগে যেখানে তিনি ছোটখাটো পার্শ্বচরিত্রের প্রস্তাব পেতেন, ‘সত্য’ মুক্তির পর বদলে যায় সে দৃশ্যপট।

এর আগে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘সত্য’ ছবিতে সুযোগ পাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে মনোজ বলেন, ‘রামুর (পরিচালক রামগোপাল ভার্মা) কাছে আমাকে নিয়ে যান কান্নান আইয়ার। রামু যখন জানতে পারেন, আমিই “ব্যান্ডিট কুইন”-এ মান সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম, তখন তিনি বলেন, “ওই ছবিতে তোমার কাজ ভালো লেগেছে। এর পর থেকেই আমার ছবিতে তোমাকে নিতে চাইছিলাম।” তবে তিনি আমাকে আরেকটি ছবি “দাউদ”-এ অভিনয় করতে বারণ করেন। তবে আমি জানাই, ছবিটি করতেই হবে। এর চরিত্র ছোট হলেও ভালো অর্থ পাব। তাই ছোট চরিত্র হলেও কিছু মনে করি না। ভিক্ষুকের তো আর পছন্দ-অপছন্দ থাকে না।’