সাইফের হামলাকারীকে চিহ্নিত করলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

‘তাণ্ডব’–এ সাইফ আলী খান। আইএমডিবি

বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনা করে নতুন সামনে এসেছে। পুলিশের দাবি, এ মামলার মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদের শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি রাতে প্রত্যক্ষদর্শীদের দিয়ে শনাক্ত করানো হয়েছে। সাইফ মামলার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী জেহর আয়া এবং নার্স এলিয়ামা ফিলিপে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে কারাগারে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র। আর তাঁরা নিশ্চিত যে শরিফুলই সাইফের ওপর হামলা করেছিলেন।

আরও পড়ুন

১৬ জানুয়ারি রাতে সাইফ আলী খানের ওপর অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি হামলা করেছিলেন। এ হামলার অভিযুক্ত হিসেবে বান্দ্রা পুলিশ শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, শরিফুল বাংলাদেশের নাগরিক। চোরাই পথে তিনি ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। শরিফুল এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে আছেন। এখন তাঁর ঠিকানা মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেল।

বুধবার আর্থার রোড জেলে সাইফ হামলার অভিযুক্ত শরিফুলের শনাক্তকরণ প্যারেডের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সাইফ-কারিনার বাসার পরিচারিকা, গৃহকর্মী এবং জেহর আয়া কারাগারে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। শনাক্তকরণ প্যারেডের সময় প্রায় একই চেহারার অন্য কয়েদিদের সঙ্গে শরিফুলকে দাঁড় করানো হয়েছিল।

অভিযুক্ত শরিফুল। এএনআই

সাইফের বাসার পরিচারিকা ও গৃহকর্মীরা অন্য কয়েদিদের মধ্য থেকে শরিফুলকে চিনতে পেরেছেন। আর তাঁরা নিশ্চিত করেছেন যে ১৬ জানুয়ারি রাতে শরিফুলই সাইফের ওপর হামলা করেছিলেন। শনাক্তকরণ প্যারেডের সময় শরিফুলকে শনাক্ত করতে নার্স এলিয়ামা ফিলিপ এবং সাইফ-কারিনার ছোট ছেলে জেহর আয়া জুনু উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। সাইফের ওপর হামলার এই দুই মূল প্রত্যক্ষদর্শী শরিফুলকে চিনতে পেরেছেন বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে চর্চা ছিল যে পুলিশ এ মামলার অভিযুক্ত হিসেবে ভুল মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে।

তবে অনেকের দাবি ছিল যে সাইফের আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজের ব্যক্তি আর গ্রেপ্তার হওয়া শরিফুলের কোনো মিলই নেই।

সাইফ আলী খান। এএনআই

এমনকি শরিফুলের বাবা রুহুল আমিন ফকির প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধিকে অত্যন্ত প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়েছিলেন যে সিসিটিভি ফুটেজে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তিনি তাঁর ছেলে কখনোই নন। মুম্বাই পুলিশ এ মামলার অভিযুক্ত হিসেবে যাঁকে গ্রেপ্তার করেছে, তিনিই তাঁর ছেলে বলে দাবি করেছিলেন বাংলাদেশের ঝালকাঠির বাসিন্দা রুহুল আমিন।

এদিকে কিছুদিন আগেই বান্দ্রা পুলিশ শরিফুলের ‘ফেস রিকগনিশন’-এর রিপোর্ট হাতে পেয়েছে। এ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানা গেছে। ফরেনসিক টিম এ রিপোর্টে বলেছে যে সাইফের বিল্ডিংয়ের সিঁড়ির সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে, তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া শরিফুল ইসলামের হুবহু মিল আছে।

আরও পড়ুন

১৬ জানুয়ারি রাতে চুরি করার উদ্দেশ্যে সাইফ-কারিনার অ্যাপার্টমেন্টে এক দুষ্কৃতি প্রবেশ করেছিলেন বলে জানা গেছে। চুরি করার আগেই সাইফ আততায়ীকে ধরে ফেলেছিলেন। আর সেই সময় আততায়ী সাইফের ওপর ছুরি দিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন। এই বলিউড তারকাকে এরপর লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। অস্ত্রোপচার করে সাইফের পিঠ থেকে ছুরির একটি টুকরা বের করেছিলেন লীলাবতী হাসপাতালের সার্জনরা। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে নিজের বাসায় ফিরে এসেছিলেন।