দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার পর তাঁদের মধ্যে তিক্ততা বেড়েছিল!
দুই কন্যাসন্তানের মা-বাবা হলেন এশা দেওল আর ভরত তখতানি। দ্বিতীয় সন্তান মারিয়া জন্মানোর পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব ক্রমে বাড়ছিল। স্বামীর খেয়াল ঠিকমতো রাখতে পারছিলেন না বলে জানালেন এশা নিজেই। আর তাই এই তারকা দম্পতি নিজেদের পথ আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেন। ভরত-এশা যৌথ বিবৃতিতে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছেন।
প্রথম আলোকে পাঠানো ভরত-এশা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা যৌথভাবে এবং একে অপরের সম্মতিতে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুই সন্তানের কথা মাথায় রেখে এবং তাদের ভালোর জন্যই আমাদের জীবনের ক্ষেত্রে এই বদল এনেছি। তারা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করব আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে।’ বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতিদের তালিকায় ভরত-এশার নাম সব সময় ছিল। আর তাই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের খবরে অনেকেই মেনে নিতে পারেননি।
১২ বছরের দাম্পত্য জীবনের চিড় ধরার খবরটি এর আগে এই দম্পতির কেউ-ই প্রকাশ করেননি। তবে এশা তাঁর লেখা বই ‘আম্মা মিয়া: স্টোরিজ’-এ এই বিচ্ছেদের কিছুটা আভাস দিয়েছেন। অভিনেত্রী বইতে ফাঁস করেছেন যে দ্বিতীয় কন্যা মিরায়া জন্মানোর পর তিনি ভরতকে অবহেলা করতে শুরু করেছিলেন। ডিএনএ-এ অনলাইনে প্রকাশিত খবরের এষার ভাষ্য ছিল এমন, ‘দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার পর আমি নোটিশ করছিলাম, ভরত আমার প্রতি হতাশ হয়ে উঠছে। তাঁর মনে হয়েছিল যে আমি তাকে নজর দিই না। স্বামীর এ রকম মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক, কারণ ওই সময় আমি রাধ্যার প্লেস্কুল, আর মিরায়াকে ‘ফিড’ করানোর কাজে ব্যস্ত থাকতাম। এর পাশাপাশি বই লেখার কাজ, আর নিজের প্রযোজনা সংস্থার মিটিংয়েও বেশি সময় দিয়েছি। আর তাই ভরতের মনে হয়েছিল যে আমি তার খেয়াল রাখছি না। তার জায়গায় সে ঠিক আছে।’
এশা আরও উল্লেখ করেছেন যে ভরতের চাহিদা খুবই কম। কিন্তু সন্তানদের কারণে তিনি তাঁর স্বামীকে অবহেলা করছিলেন বলে অকপটে স্বীকার করেছেন। ভরতের ছোট ছোট বিষয়ের কথা এশা ভুলে যেতেন বলেন এই বইতে প্রকাশ করেছেন। তবে নিজের ভুল ধরতে পেরে এশা দেরি না করে তা শুধরে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
অবশ্য বলিউডপাড়ায় এমনও গুঞ্জন যে ভরত-এশার বিচ্ছেদের কারণ ভরতের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। এবিপি নিউজের খবর অনুযায়ী, ভরত বেঙ্গালুরুর এক মেয়ের সঙ্গে ডেট করছেন। স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে এশা ভরতের থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে কথা উঠেছে।