নিজেই নিজের সমালোচক
মহারানির মতো সিরিজের সিকুয়েলের সাফল্যও তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন হুমা কুরেশি। কিছুদিন আগে সনি লিভে মুক্তি পেয়েছিল ওয়েব সিরিজ ‘মহারানি টু’। বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর জীবনের আধারে নির্মিত এই সিরিজের মূল চরিত্রে ছিলেন হুমা। তাঁর চরিত্রের নাম রানি ভারতী। তবে পর্দার চরিত্রের সঙ্গে বাস্তবে হুমার ছিটেফোঁটাও মিল নেই।
প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘রানি ভারতী ও আমি বিপরীত মেরুর বাসিন্দা। এই চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে এতটুকু মেলাতে পারিনি। তবে মহারানির প্রথম সিজন আমার জন্য বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। পর্দায় নিজেকে রানি ভারতী হিসেবে তুলে ধরা খুব কঠিন। আমাকে বিহারি ভাষা থেকে অনেক কিছুই শিখতে হয়েছিল।’
‘মহারানি টু’ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এই ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে আমি নিজেই নিজের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। আমার কাছে সবার প্রত্যাশা ছিল বেশি। সেই প্রত্যাশা পূরণের এক অদৃশ্য চাপ ছিল। তবে ভালো লাগছে, সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি। প্রথমটির পর দ্বিতীয় কিস্তির জন্যও সবার প্রশংসা পাচ্ছি।’
সামনে হুমাকে দেখা যাবে ডবল এক্সএল–এর মতো ভিন্ন ধারার ছবিতে। পর্দায় নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন তিনি। হালে বৈচিত্র্যময় চরিত্রের জন্য প্রশংসিত হলেও ক্যারিয়ারের শুরুতে প্রবল সমালোচনা সইতে হয়েছে তাঁকে। কথা হয়েছে তাঁর শরীর থেকে নানা বিষয় নিয়ে।
এ প্রসঙ্গে হুমা বলেন, ‘কে কী বলল, তা কখনোই গায়ে মাখি না। অন্যের সমালোচনার ধার ধারি না। নেতিবাচক আর ফালতু বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখি। তবে আমি নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় সমালোচক। সব সময় আরও উন্নতি করার চেষ্টায় থাকি। নিজের মধ্যে এই তাগিদ না থাকলে নিজেরই বিপদ।’
অভিনয়ের পাশাপাশি নানা সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকেন হুমা। কোভিডের সময় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গ উঠতেই হুমা বলেন, ‘আমি এসব বিষয়ে কথা বলি না। সমাজসেবামূলক কাজ করে তার প্রচার করে বেড়ালে এর কোনো মূল্য থাকে না। তবে আগামী দিনে পরিবেশ ও শিশুশিক্ষার ওপর কাজ করতে চাই। আমার মা কাশ্মীরের এক গ্রামে বড় হয়েছেন। ওখানে একটা স্কুল করার পরিকল্পনা আছে।’