পারিবারিক দ্বন্দ্ব চরমে, বাবার পদবি বাদ দিলেন প্রতীক
বাব্বর পরিবারের অন্দরমহলে সমস্যা চলছিল বহুদিন ধরেই। সম্পর্কে ধরেছিল চওড়া ফাটল। তবে তা প্রকাশ্যে আসে গত ফেব্রুয়ারিতে অভিনেতা প্রতীক বাব্বরের বিয়ের দিন। দীর্ঘদিনের প্রেমিকা প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছাঁদনাতলায় বসেছিলেন প্রতীক।
তবে এই বিশেষ দিনে নিজের পরিবারকে আমন্ত্রণ জানাননি তিনি। বাবা রাজ বাব্বর, সৎভাই আর্য ও সৎবোন জুহি বাব্বরকে যে আমন্ত্রণ জানাননি প্রতীক, সে খবরে আগেই সিলমোহর দিয়েছিলেন খোদ আর্য। জানিয়েছিলে, ছয় মাস যাবৎ বাব্বর পরিবারের মধ্যে সমস্যা চলছে; প্রতীক কেন এই বিয়ের অনুষ্ঠানে থেকে তাঁর পরিবারকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন, তার কারণ তিনি জানেন না। তবে এবার কফিনে আরও একটি পেরেকটি গেঁথে দিলেন প্রতীক। নিজের নাম থেকে বাব্বর পদবি ছেঁটে ফেললেন তিনি! নাম বদলে রাখলেন প্রতীক স্মিতা পাতিল! খবর বলিউড বাবলের
নিজের প্রয়াত মা তথা অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের নাম নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে নিলেন প্রতীক। কেন এ রকম করলেন তিনি? অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর নাম ও পরিচয়ের সঙ্গে কেবল নিজের মাকেই জড়িয়ে রাখতে চান; বাবাকে নয়। তাই এ সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি স্পষ্ট করে এ–ও জানিয়ে দেন, তাঁর এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলাফল কী হবে, সেসব নিয়ে চিন্তিত নন তিনি।
প্রতীকের কথায়, ‘আমি খুব বেশি গভীরে গিয়ে কিছু ভাবিনি। সেটাই করেছি, যা আমার হৃদয়কে শান্তি দিয়েছে। এই নামবদলের সিদ্ধান্ত আমার ক্যারিয়ারে যদি কোনো কুপ্রভাবও ফেলে তো ফেলবে, কিছু যায়–আসে না।
আমি চেয়েছি মা আমার অন্তরাত্মার সঙ্গে জুড়ে থাকুক। তার উত্তরাধিকার বহন করে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ পথ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মনে হচ্ছে, জীবনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো। পরিষ্কার করে জানিয়ে দিতে চাই, মানুষ হিসেবে আমি আমার মায়ের মতো হতে চাই; আমার বাবার মতো নয়!’
প্রতীকের বিয়েতে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় তাঁর সৎবোন জুহিও মুখ খুলেছিলেন। তাঁর সন্দেহ, প্রতীকের এই কাজের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারও অভিসন্ধি!
জুহি বলেছিলেন, ‘এই মুহূর্তে প্রতীকের আশপাশে এমন একজন রয়েছে, যে ওকে নাচাচ্ছে। সেই ব্যক্তির নাম আমরা জনসমক্ষে আনতে চাই না। কারণ, এই গোটা বিষয়ের মাঝে পড়ে প্রতীকের ওপর চাপ সৃষ্টি হোক, এমনটা আমরা কখনোই চাই না। কারণ, তাতে কোনো লাভ হবে না কারও। আরেকটা কথা স্পষ্ট করে দেওয়া ভালো, আমরা কিন্তু কোনোভাবেই সেই ব্যক্তির মধ্যে প্রিয়ার কথা বলছি না। প্রিয়া খুব ভালো মেয়ে।’
প্রতীকের পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিয়ে তাঁর স্ত্রী প্রিয়া কোনো মন্তব্য করেননি।