‘নারীপ্রধান’ তকমায় আপত্তি ভূমির
বলিউড নায়িকা ভূমি পেড়নেকর নিজের কাঁধে একটা গোটা ছবি নিয়ে যেতে পিছপা হন না। কিছুদিন আগেই ‘ভক্ষক’ ছবিতে তিনি তাঁর অভিনয়ের দাপট দেখিয়েছেন। বলা যায়, ছবিটি একা নিজের কাঁধে টেনেছেন তিনি। কিন্তু ‘নারীপ্রধান ছবি’—এই পরিভাষাকে অন্তর থেকে ঘৃণা করেন এই নায়িকা। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে খোলাসা করেছেন তিনি।
ভূমি জানিয়েছেন, ‘নারীপ্রধান ছবি’ তিনি করতে বা দেখতে মোটেও পছন্দ করেন না। আর ‘নারীপ্রধান’ শব্দটিকে কেন তিনি ঘৃণা করেন, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। ভূমির কথায়, ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ ‘পুরুষপ্রধান ছবি’ শব্দের ব্যবহার করেন না।
সিনেমার ধরনের সঙ্গে এ ধরনের তকমাকে লিঙ্গবৈষম্য হিসেবে দেখেন অভিনেত্রী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বিবৃতিতে বলেছেন, মানুষের মনে এমন এক ধারণার জন্ম নিয়েছে যে দর্শক নারীদের নিয়ে নির্মিত ছবির প্রতি আকর্ষিত হন না। আর এটা পুরোপুরি অন্যায়। এ ধরনের প্রকল্পগুলোকে নারীকেন্দ্রিক বলে আখ্যা দেওয়া হয়। এই শব্দগুলো শুনলে অত্যন্ত বিরক্ত লাগে। অন্তর থেকে ঘৃণা জন্মায়।
লিঙ্গ দিয়ে ভাগ করে মানুষের পছন্দকে প্রভাবিত করা উচিত নয়। দর্শক ভালো সিনেমা আর গল্প দেখতে পছন্দ করেন। তাই এ ধরনের কথাবার্তা সত্যিই হাস্যকর।
এক বিবৃতিতে ভূমি আরও বলেছেন, ‘এই ধারণা সত্যি হলে আমি কখনোই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করতে সফল হতাম না। আমি শক্তিশালী নারী চরিত্রে অভিনয় করে নিজের ক্যারিয়ার বানিয়েছি। আমি সত্যি ভাগ্যবতী। কারণ, আমি সেই সময়ে কাজ করা শুরু করেছিলাম যখন ছবিতে মেয়েদের জন্য চরিত্র লেখা শুরু হয়েছে। আমি ভাগ্যবতী যে পরিচালকদের আমার অভিনয় পছন্দ হয়েছে, আর তাঁরা আমাকে সুন্দর সুন্দর ছবির জন্য নির্বাচন করেছেন, যেসব ছবিতে দেখা গেছে নারীরা সমাজে পরিবর্তন এনেছেন।’
কয়েক মাস আগেই নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল ভূমি অভিনীত ‘ভক্ষক’ ছবিটি। এ ছবির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ‘আমার অভিনীত ভক্ষক সিনেমায় দেখানো হয়েছে, এক নারী সমাজের মঙ্গলের জন্য লড়ছেন।
তাঁর এই প্রবল ইচ্ছাশক্তিই সিনেমার মূল শক্তি। সারা বিশ্বে ছবিটি চূড়ান্তভাবে হিট। এ ধরনের ছবি কখনো হিট হতে পারত না যদি দর্শকদের মনোভাব না বদলাত।’