যে কারণে শাহরুখকে বলিউডের ‘বাদশাহ’ বলা হয়
বক্স অফিসের বিচারে সময়টা যাচ্ছে না তাঁর। ‘ফ্যান’ থেকে ‘জিরো’—সব মিলে শেষ চারটি ছবিই ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। সেটা পুষিয়ে দিতে সব রকম প্রস্তুতিই নিয়েছেন অভিনেতা। আগামী বছর তাঁর তিনটি ছবি মুক্তি পাবে। বড় বাজেটের ছবিগুলো মুক্তি পেলে হয়তো তাঁর পাবে নতুন গতি। আজ ২৫ জুন ক্যারিয়ারের ৩০ বছর পূর্ণ করেছেন অভিনেতা। তিন দশক পূর্তি উপলক্ষে শাহরুখের ক্যারিয়ারের পেছন দিকে ফেরা যাক। দেখা যাক শাহরুখ কীভাবে বলিউডের বক্স অফিসের ‘বাদশাহ’ হয়ে উঠলেন।
‘বক্স অফিস ওপেনার’
সেই নব্বই দশক থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বক্স অফিসে সবচেয়ে বেশি ‘বাম্পার’ শুরু এনে দেওয়া অভিনেতার নাম শাহরুখ খান। তাঁর অভিনীত ৬২ সিনেমার মধ্যে ১৬টি বক্স অফিসে দুর্দান্ত শুরু করে। এরপর প্রযোজক মহলে তো তাঁর নামই হয়ে যায় ‘বাম্পার ওপেনার’। তাঁকে নেওয়া মানে প্রযোজকেরা ধরেই নিতেন ছবির খরচের অনেকটা প্রথম দিনই উঠে আসবে। বক্স অফিসে দারুণ শুরু এনে দেওয়ার এই সুনাম অভিনেতাকে ‘বলিউড কিং’ তকমাও জুটিয়ে দেয়।
সবচেয়ে বেশি ব্যবসা
বছরে সবচেয়ে বেশি করা সিনেমার রেকর্ডও শাহরুখের দখলে। সেটা অবশ্য বিশ্বজুড়ে ভারতীয় সিনেমার ব্যবসার নিরিখে। এখন পর্যন্ত তাঁর নয়টি সিনেমা এই রেকর্ড গড়েছে।
নব্বইয়ের রাজা
নব্বইয়ের দশকে সবচেয়ে বেশি টানা হিট ছবি করার রেকর্ড শাহরুখ খানের। ওই দশকে ‘বাজিগর’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’সহ পরপর ১২টি সুপারহিট সিনেমা উপহার দেন। ‘বলিউড কিং’ তো আর এমনি এমনি নাম হয়নি।
হিটের পর হিট
কেবল কি নব্বইয়ের দশক, পরের দশকেও অব্যাহত ছিল শাহরুখের জয়যাত্রা। নব্বইয়ের দশকে অভিষেক হওয়া তিনিই একমাত্র অভিনেতা, যাঁর পরপর ১০টি হিট সিনেমা আছে। ২০০৬ থেকে ২০১৪—আশ্চর্য হলেও সত্যি এই আট বছরে শাহরুখের একটিও ফ্লপ ছবি নেই।
দেশের বাইরেও রাজা
কয়েক বছর ধরে ভারতীয় সিনেমা দুর্দান্ত ব্যবসা করেছে বিদেশে। এর পেছনে শাহরুখের ভূমিকাও আছে। এখন পর্যন্ত ভারতের বাইরের সবচেয়ে বেশি ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দেওয়া অভিনেতার নাম শাহরুখ।
১০ মিলিয়ন আয়
‘মাই নেম ইজ খান’ থেকে ‘জিরো’ শাহরুখ খানের টানা ১২টি সিনেমা ভারতের বাইরে ১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যবসা করেছে। যে রেকর্ড নেই অন্য কোনো অভিনেতার।
এক বছরে ১০ কোটি
১৯৯৫ সালে শাহরুখ খান অভিনীত সিনেমাগুলো টিকিট বিক্রি থেকে ১০ কোটি রুপি আয় করে। যে রেকর্ড ২৭ বছরে ভাঙতে পারেনি কেউ। বক্স অফিস বিশ্লেষকেরা বলছেন, ১৯৯৫ সালে ১০ কোটি রুপির মূল্যমান বর্তমান সময়ের ৩ হাজার কোটি রুপির সমান।