ভাগ্যিস ছেড়ে যাইনি
ইয়ামির এখন সুসময়। ‘আ থার্সডে’ ছবিতে তাঁর অভিনয় সবার মন জয় করেছে। এখন মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাঁর ছবি ‘দশবি’। কয়েক বছর আগেও মন্দ সময় কাটিয়েছেন এই তারকা। এমনকি চলচ্চিত্রজগৎকে চিরতরে বিদায় জানানোর কথাও ভেবেছিলেন তিনি।
ইয়ামি গৌতম এক সাক্ষাৎকারে নিজের মন্দ সময় নিয়ে বলেছেন, ‘জীবনে একটা সময় এসেছিল, যখন মনে হয়েছিল যে আমি কি ফিরে যাব! কেউ যদি ফিরে যেতে চান, তাঁর প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা। কারণ, এটা অত্যন্ত অনিশ্চিত এক দুনিয়া। এখানে তোমার প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তোমার জীবনের চাবিকাঠি অন্য কারোর হাতে। এটা অনেকের বোধগম্য না–ও হতে পারে। কিন্তু এটাই আসল বাস্তবতা। আমার জীবনে যদি ‘বালা’, বা ‘উরি’র মতো ছবি না আসত, তাহলে এত দিনে হয়তো আমি পাততাড়ি গুটিয়ে চলে যেতাম। ফিরে গিয়ে অন্য কিছু হয়তো করতাম। আর তা–ই নিয়ে হয়তো শান্তিতেই থাকতাম। ভাগ্যিস আমি ফিল্মি জগৎ ছেড়ে যাইনি। তার জন্য আমি দারুণ খুশি।’
এই বলিউড অভিনেত্রী বলেছেন যে নিজের শহর হিমাচলে ফিরে গিয়ে তিনি হয়তো চাষাবাদ বা অন্য কিছু করতেন। তবে যা-ই করতেন, তার মধ্যে আনন্দ খুঁজে নিতেন তিনি। আর খুশি থাকতেন ইয়ামি।
এই বলিউড নায়িকা আরও বলেছেন, ‘জানেন, কেউ জীবনে অসুখী থাকতে চান না। তাই একটা চেষ্টা জরুরি। প্রত্যেকের কিছু না কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে মায়ের সঙ্গে আমার কথোপকথনের কথা মনে আছে। আমি বলেছিলাম যে এবার যদি কিছু না হয়, তাহলে আমি ফিরে যাব। আর আমি হাসিমুখে ফিরে যাব। নানান কারণে আমি এখন এক অন্য মানুষ। তবে আমার মধ্যে মূল্যবোধ, মর্যাদা আর আত্মসম্মান বোধ একই রকম আছে। আর এসব কিছুর সঙ্গে আমি কখনো সমঝোতা করি না।’
ইয়ামির সময়টা যে ভালো যাচ্ছে, তা তাঁর ক্যারিয়ারের খাতায় একবার নজর দিলে বোঝা যাবে। ৭ এপ্রিল মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর দশবি। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে আছেন অভিষেক বচ্চন, নিমরত কাউর। এ ছবিতে তাঁকে জেলারের ভূমিকায় দেখা যাবে। ওহ মাই গড সিনেমার সিকুয়েল ছাড়া আরও বেশ কিছু ছবিতে আছেন ইয়ামি। ‘ভূত পুলিশ’ ছাড়া দীনেশ ভিজান আর অমর কৌশিকের নামহীন এক ছবিতে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। এ ছাড়া ইয়ামি আরএসভিপির এক ছবিতে কাজ করছেন।