অভিমানে দূরে সরে গেলেন সোনাক্ষী
এক বুক অভিমান নিয়ে নিজেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বেশ কিছু দিন আগেই দূরে সরিয়ে নিয়েছেন সোনাক্ষী সিনহা। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বার বার উঠে আসে বলিউডে স্বজনপ্রীতির কথা। আর তাই তারকা সন্তানদের ক্রমাগত আক্রমণ করতে থাকে নেটিজেনরা। সোনম কাপুর, জাহ্নবী কাপুর, আলিয়া ভাটসহ অসংখ্য তারকা সন্তানদের নানান ভাবে হেনস্থা করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বলিউড সুপারস্টার শত্রুঘ্ন সিনহার কন্যা হিসাবে সোনাক্ষী নেটিজেনদের নিশানায় চলে আসেন। তাকেও ক্রমাগত আক্রমণ করতে থাকে ট্রোলাররা। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সঙ্গে সবরকম পাট চুকিয়ে দিয়েছেন এই বলিউড নায়িকা। এবার তিনি এ ব্যাপারে মুখ খুললেন।
'স্বজনপ্রীতি' নিয়ে বার বার ট্রোলিংয়ের শিকার হতেন সোনাক্ষী। তাই বিরক্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করেনʚতিনি। কিছু দিন আগেই এই বলিউড অভিনেত্রী টুইটারকে টাটা বাই বাই করেছেন। আর ইনস্টাগ্রামে 'কমেন্ট সেকশন' বন্ধ রেখেছেন। তাই এখন সবধরনের নেতিবাচক বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন সোনাক্ষী। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে রেখে ভীষণই খুশি বলে জানালেন শত্রুঘ্ন কন্যা।
এ প্রসংগে সোনাক্ষী বলেন, ‘টুইটার এখন খেলার মাঠ হয়ে গেছে। এখানে মানুষ যে কোনো বিষয়ের উপর যা তা মন্তব্য করে। আমরা এখন ইন্টারনেটে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় কাটাই। আর তার প্রভাব পড়ছে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে। তাই আমি এসবকিছু থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাকে জীবনে আরো ভালো কিছু করতে হবে। তবে আমার কোনো অভিযোগ নেই। ইনস্টাগ্রামে আমি আমার 'কমেন্ট সেকশন' বন্ধ করে রেখেছি।’
'স্বজনপ্রীতি নিয়ে সোনাক্ষীকে হরহামেশাই নানান কটূক্তি শুনতে হত। এবার এ বিষয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। সোনাক্ষী বলেছেন, ‘কোনো মানুষই নিজের সম্পর্কে কটু কথা শুনতে পছন্দ করে না। এই ইস্যুটাকে নিয়ে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। আর অনেককেই দেখেছি রাগে ফুসতে। তারকা সন্তানরাও অন্যান্যদের মতো পরিশ্রম করে। আর দর্শকই তাদের স্বীকার করে নিয়েছে। তাই তারা প্রাপ্য সম্মান পাওয়ার অধিকার রাখে। তাদের ওপর আক্রমণ করা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটা ফিল্মি পরিবার আপনাকে প্রথম পরিচয়, প্রথম সুযোগ, প্রথম অডিশন, এবং প্রথম ছবি দিতে পারে। কিন্তু এরপর কি? কেউ কারো ক্যারিয়ার গড়তে বা নষ্ট করতে পারে না। এই ক্ষমতা কেবলমাত্র দর্শকের হাতেই থাকে। আজ আমরা এইখানে পৌঁছেছি, কারণ দর্শক আমাদের গ্রহণ করেছে। এখানে 'ইনসাইডার' বা 'আউটসাইডার' বলে কিছু নেই। তাই দর্শক কাকে গ্রহণ করবে বা কাকে ছুড়ে ফেলে দেবে তা একান্ত তাদেরই ব্যাপার। অযথা তারকা সন্তানদের আক্রমণ করা খুবই দুখজনক বিষয়।’
আমার জন্য বাবা কোনোদিন কাউকে ফোন করেননি। তাই আজ আমি যা অর্জন করেছি তা কেবল নিজের পরিশ্রমের জোরে।সোনাক্ষী সিনহা