লকডাউনে ঘরটাকেই স্টুডিও বানিয়েছেন ত্বিষা

সায়ন্তনী ত্বিষা। ছবি: সংগৃহীত
সায়ন্তনী ত্বিষা। ছবি: সংগৃহীত

সায়ন্তনী ত্বিষা একের ভেতর অনেক বলতে যা বোঝায়, তাই। তাঁর অনেকগুলো পরিচয়ের একটি তিনি সংগীতশিল্পী। লকডাউনে থেমে নেই কোনো কিছু। ঘরে থেকেই চলছে অফিস, সেই সঙ্গে সমানতালে চলছে গান। এমনকি ঘরে থেকেই সুন্দরভাবে অ্যালবাম আর ব্যান্ডের কাজ চালিয়ে নিতে কিনে ফেলেছেন ফুল অডিও সেটআপ। তাই ঘরটাই এখন রেকর্ডিং স্টুডিও।

ত্বিষাদের ব্যান্ডের নাম আনসার্টেইনিটি প্রিন্সিপাল। এখানে রবীন্দ্রনাথ থেকে মাইকেল জ্যাকসন—সবার গান গাওয়া হয়। ‘ডায়িং লাইট’ শিরোনামে ইংরেজি ভাষায় নিজেদের প্রথম মৌলিক গানও বের করেছে এই ব্যান্ড। ব্যান্ডের ভোকাল ত্বিষা, গিটারিস্ট তাহমিদ, বেজ এ মিশু আর ড্রাম বাজান হৃদয়।

আজ ঘরবন্দী মানুষের বিষণ্নতা দূর করে বিনোদিত করতে ‘ঘরে বসে গানে’র আয়োজন করেছে প্রথম আলো। নিজ নিজ ঘরে বসে গান গেয়ে তাঁদের মন ভালো করছেন বাংলাদেশি শিল্পীরা। প্রথম আলোর ‘ঘরে বসে শোনাব গান’ অনুষ্ঠানে আজ গাইবেন সায়ন্তনী ত্বিষা। রাত ১০টা ৩০ মিনিটে প্রথম আলোর ফেসবুক লাইভে উপভোগ করা যাবে তাঁর গান। আজ ত্বিষা যে চারটি গান গাইবেন, তার তিনটিই রবীন্দ্রসংগীত। ‘সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে’, ‘আমার মাথা নত করে’ আর ‘তোমার খোলা হাওয়া’। আর শেষ করবেন ঘরবন্দীর দিনে বেড়াতে যাওয়ার গান দিয়ে, ‘আমরা এমনি এসে ভেসে যাই’।

সায়ন্তনী ত্বিষা। ছবি:সংগৃহীত
সায়ন্তনী ত্বিষা। ছবি:সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব সন্‌জীদা খাতুনের নাতনি ত্বিষা লকডাউনে ঘরে বসে রেকর্ডিং সফটওয়্যারের কাজও শিখছেন। বললেন, ‘ঘরে থেকে অফিস অফিসের নিয়মে চলছে। অনলাইনে অফিসের মিটিংও করছি। তবে অফিসে যাওয়া-আসার যে তিন ঘণ্টা সময় প্রতিদিন বেঁচে যাচ্ছে, সেটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। শব্দ রেকর্ডিং আর মিক্সিংয়ের কাজ শিখছি। নিজের অ্যালবামের কাজ আগাচ্ছি। আবার ভারতীয় কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গে মিলে গান করার চেষ্টা করছি। অবসরে শাড়ি, টি-শার্টে আঁকছি। এভাবেই কেটে যাচ্ছে ঘরবন্দী দিন।’