অবরুদ্ধ সময়ের আফজাল হোসেনের চলচ্চিত্র
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে ঘরবন্দী থাকার কারণে আচমকা যখন 'ছুটি'র মওকা মিলল, অন্য সবার সঙ্গে অপ্রত্যাশিত অবসর পেয়ে গেলেন অভিনেতা-নির্মাতা আফজাল হোসেনও। এই অখণ্ড ছুটিতে কী করেন তিনি? তাই ছবি আঁকার ফাঁকে ফাঁকে সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব ও অগ্রজ-অনুজ অভিনেতাদের সঙ্গে অনলাইন প্রযুক্তির মাধ্যমে গল্প করতে শুরু করলেন।
কোনো দিন আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে কথা হয় তো কোনো দিন মামুনুর রশীদ। মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, কখনো আবার তৌকীর আহমেদ, জহিদ হাসান বা শহীদুজ্জামান সেলিমের সঙ্গেও কথা হয়। অভিনয়জগতের বিভিন্ন সহকর্মীর সঙ্গে এভাবে কথা বলতে বলতেই ভাবনাটি এল। আনমনে বলে ফেললেন, 'আমাদের নিজেদের কথাগুলো ক্যামেরায় ধারণ করা যায় না? একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায় না এই অবরুদ্ধ সময়ে?'
যেই ভাবা সেই কাজ। গেল এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ঘরবন্দী থেকেই শুরু হলো একসঙ্গে নামে চলচ্চিত্রটির কাজ। আফজাল হোসেনের এই চলচ্চিত্র সম্পাদনা এর মধ্যেই শেষ হয়েছে। সহসাই ছবিটি ইউটিউবে মুক্তি দেওয়া হবে।
চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, একসঙ্গে চলচ্চিত্রের যাঁরা অভিনয়শিল্পী এবং এর নেপথ্যে যাঁরা কাজ করেছেন, সবাই-ই কাজ করেছেন নিজেদের ঘরে বসে। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নিজেরাই নিজেদের অংশ ধারণ করে পাঠিয়েছেন।
অগ্রজ-অনুজ মিলিয়ে ১০ মিনিটের এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের একঝাঁক নন্দিত তারকা। তাঁরা হলেন ফেরদৌসী মজুমদার, রামেন্দু মজুমদার, আবুল হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর, মামুনুর রশীদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, তৌকীর আহমেদ, শহীদুজ্জামান সেলিম, জাহিদ হাসান, মৌ, তারিন, ওয়াহীদা মল্লিক জলি, রহমত আলী, ফজলুর রহমান বাবু, আফসানা মিমি, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম, তাহসান, মৌটুসী বিশ্বাস, সালাহউদ্দীন লাভলু, মাসুম রেজা, জিতু আহসান, সজল ও আফজাল হোসেন নিজে।
এই চলচ্চিত্র সম্পর্কে আফজাল হোসেন বলেন, 'করোনা বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নাটকের মানুষেরা সাম্প্রতিক যেসব চিন্তা ও অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন, এই চলচ্চিত্রে তার ছাপ পাওয়া যাবে। বলতে পারি, তাঁদের চিন্তাগুলো এখানে চিত্রভাবনারূপে প্রকাশ পেয়েছে। আসলে একসঙ্গে—ছবিটির মাধ্যমে আমি আমাদের সবার কথা ও অভিব্যক্তিকে এক জায়গায় এনে সময়ের ক্যানভাসে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।'