শো মাস্ট গো অন...
>বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আজ শুক্রবার ও কাল দেশ নাটকের মঞ্চ প্রযোজনা জলবাসর নাটকের উদ্বোধনী আয়োজন। মাসুম রেজা রচিত ও নির্দেশিত নাটকটি দেখা যাবে সন্ধ্যা সাতটায়। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন বন্যা মির্জা। মহড়ার ফাঁকে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
ইশরাত নিশাতকে ছাড়াই ‘জলবাসর’ নাটকের মঞ্চায়ন করতে হচ্ছে...
মঞ্চায়ন করতে হচ্ছে। মাথায় কিছুই কাজ করছে না। কিন্তু শো মাস্ট গো অন। এই নাটকের মঞ্চায়ন ঠিকঠাক করলে নিশাত আপার জন্য কিছু করা হবে। এর বাইরে কিছু ভাবতে পারছি না। সবকিছু তিনি দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। আমরা তাঁর দেখানো পথেই হাঁটব।
নাটকে আপনার চরিত্র সম্পর্কে জানতে চাই
তিন বোন নিয়ে নাটকের গল্প এগিয়েছে। আমি ছাড়াও আছে নাজনীন চুমকী ও তনিমা তিথি। আমি মেজ, চুমকী বড় আর তিথি ছোট। নাটকের ভাবনা ম্যাজিক রিয়ালিজম। এর বেশি আপাতত ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।
এর আগে কোন নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন?
নিত্যপুরাণ, সুরগাঁও নাটকে। থিয়েটারে আমি কোনো দিন অনিয়মিত ছিলাম না। সেই যে ১৯৯২ সালে থিয়েটার শুরু করেছি, এখনো করেই যাচ্ছি।
অনেকেই টেলিভিশনে ব্যস্ত হয়ে মঞ্চে সময় দিতে পারছেন না
এটা সময় বিভাজনের ব্যাপার। আমরা শুটিং করেও মঞ্চনাটকে সময় দিতে পারতাম, তাঁরা মঞ্চনাটকের জন্য শিল্পীদের ছাড় দিতেন। এমনকি আগের দিনের মহড়ার বিষয়টিও কনসিডার করতেন। এখন যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা সেই বিষয়টা বোঝেন না, ফলে তাঁরা ছাড়েনও না। আমাকে ওই ধরনের সুযোগ না দিলে তো যেই–ই হোক, কাজ করি না। করব না।
আপনার কাছে সব সময় থিয়েটার প্রাধান্য পেয়েছে
যাঁরাই থিয়েটার বিষয়টি বোঝেন, তাঁরা সবাই প্রাধান্য দিয়েছেন। আলী যাকেরের মতো অভিনেতাদের কাছে এখনো থিয়েটার ধ্যানজ্ঞান। আমি সে তুলনায় নস্যি।
টেলিভিশন নাটক কেমন চলছে...
আমি কমিয়েছি। ছেড়ে দিয়েছি বলতে চাই না। পর্যায়ক্রমে কমিয়েছি। অন্য একটা পেশায় যুক্ত আমি। আমার মনে হয় আমাদের অভিনয়শিল্পীরা কষ্টে আছেন। তাঁরা তাঁদের পছন্দমতো চরিত্রে অভিনয় করতে পারছেন না। সব অভিনেতারই ক্ষুধা থাকে।
বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের ভবিষ্যৎ কী মনে করেন?
সবকিছুরই একটা গ্রাফ আছে। ওঠানামা করে। বাংলাদেশের নাটকের কথা আমি বলতে পারব না। টিভি নাটক নিয়ে বলাটা মোস্ট আনপ্রেডিকটেবল। আমরা ভাষা জানি না, নাটক লিখে যাচ্ছি। তবে শেষেরও তো শেষ আছে। শেষ একদিন হবে, এরপর হয়তো ভালো হবে।