২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার নতুন সভাপতি জোসেফ কমল রড্রিক্স

বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার নতুন কমিটির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার নতুন কমিটির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার নতুন সভাপতি হয়েছেন জোসেফ কমল রড্রিক্স। এর আগে তিনি এই সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ ও সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া এই সংগঠনে তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন খায়রুল আনাম শাকিল। গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর ছায়ানট রমেশ চন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে আয়োজিত এক সভায় আগামী তিন বছরের জন্য বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার ১৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী জানান, নজরুলসংগীতের শিল্পীদের সংগঠন বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৫৬ জন। এর মধ্যে শনিবারের সভায় উপস্থিত ছিলেন ৮০ জন। এখানে বিভিন্ন পদের জন্য নাম প্রস্তাব করা হয়। এর পর আলোচনা করে সবার সম্মতিতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার সভাপতি জোসেফ কমল রড্রিক্স ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার সভাপতি জোসেফ কমল রড্রিক্স ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার নতুন কমিটির সভাপতি জোসেফ কমল রড্রিক্স, সহসভাপতি খিলখিল কাজী ও ইয়াকুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল, যুগ্ম সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ ও শারমিন সাথী ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ করিম হাসান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রশিক্ষণ ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কল্পনা আনাম, প্রচার সম্পাদক বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, দপ্তর সম্পাদক দীপ্তি সমাদ্দার। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্যরা হলেন সেলিনা হোসেন, নাসিমা শাহীন, সুমন মজুমদার, শহীদ খান, রেজাউল করিম ও প্রমিতা দে।

সংগঠনটির পরিকল্পনা ও কার্যক্রম নিয়ে সভাপতি জোসেফ কমল রড্রিক্স বললেন, ‘আমরা অনেক দিন থেকেই নজরুলের আদি সুরের ওপর কাজ করছি। কাজী নজরুল ইসলামের গানের সুরগুলো বিভিন্ন দিকে চলে যাচ্ছে। তা রোধ করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কাজী নজরুল ইসলামের গানের সংখ্যা কিন্তু অসংখ্য। কিন্তু ঘুরেফিরে কিছু গান বেশি শোনা যায়। এই সংগঠনের উদ্যোগে আমরা দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি। সেখানে স্থানীয় শিল্পীদের কাজী নজরুল ইসলামের অপ্রচলিত গানগুলো শেখানো হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় নজরুলসংগীতের প্রতিভাবান শিল্পীদের আমরা সামনে নিয়ে আসছি। প্রতি মাসে আমরা নিয়মিত শ্রোতার আসর করছি। এসব অনুষ্ঠানে পুরোনো শিল্পীদের পাশাপাশি নতুনদেরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন ও মৃত্যুদিন বড় আকারে উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। এই সবই ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’