হ্যালি বেরির এখন শুধুই আফসোস
১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া একটা অ্যাকশন থ্রিলার ধাঁচের চলচ্চিত্র যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। সিনেমার নামটা পরিচিত, ‘স্পিড’। সেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অভিনেত্রী হিসেবে স্থায়ীভাবে এবং বেশ বড় আকারেই হলিউডে নিজের নাম খোদাই করলেন স্যান্ড্রা বুলক। তিন কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে বানানো সেই ছবি আয় করেছে ৩৫ কোটি মার্কিন ডলার। ওই বছর দুটি অস্কারও ঝুলিতে ভরেছিল ‘স্পিড’। এর পরে স্যান্ড্রা বুলক ‘গ্র্যাভিটি’ সিনেমায় কত পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন, জানেন? ৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা ‘স্পিড’ ছবির মোট বাজেট থেকেও বেশি! টাকার অঙ্কে তা প্রায় ৫০০ কোটির সমান। তা নেবেন নাই–বা কেন। সাড়ে ১১ কোটি ডলার ব্যয়ে বানানো সেই ছবি আয় করেছিল ৭২৩ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এসব তো পুরোনো কথা। নতুন কী? এবার জানা গেছে নতুন তথ্য। ‘স্পিড’ ছবির চিত্রনাট্য আগে গিয়েছিল ‘বন্ডগার্ল’ হ্যালি বেরির কাছে। তিনি চিত্রনাট্য পড়ে ‘না’ করে দেওয়ার পর তার প্রস্তাব যায় স্যান্ড্রা বুলকের কাছে। আর তা লুফে নেন তিনি। এই সিনেমা যখন সব রেকর্ড গুঁড়িয়ে অন্য এক উচ্চতায় জায়গা করে নেয়, হ্যালি বেরি তখন শুধু কপাল চাপড়েছেন! এই ইতিহাসের অংশ হতে পারতেন তিনিও।
এরপর যতবার তিনি ‘স্পিড’ ছবিটি দেখেছেন বা ছবিটির কোনো অংশ বা নাম দেখেছেন, ততবার তিনি কেবল আফসোস করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘জানি না আপনারা জানেন কিনা, “স্পিড” কিন্তু স্যান্ড্রা বুলকের কাছে যাওয়ার আগে আমাকে অফার করা হয়েছিল। আমি বিশ্বের সেরা বোকার মতো “না” বলেছিলাম।’
হ্যালি বেরি নাকি ব্যস্ততার জন্য এত দ্রুত স্ক্রিপ্ট পড়েছিলেন যে তখনো প্রযোজকের গাড়ি পার্কিং লট ছেড়ে যায়নি, আর এর আগেই তাঁর পড়া শেষ! এখনো প্রতিবার যখন সিনেমাটা দেখেন, তাঁর মনে হয়, যদি আরেকটু সময় নিয়ে পড়তেন, তাহলে হয়তো “না” বলতেন না। কল্পনায় শুধু ওই সময়টাতে ফিরে যান আর নিজের ভুল সংশোধন করে নেন। ডেকান ক্রনিকল