লাল গালিচায় কাঁদলেন সেলমা
বেশ কয়েক মাস আগে নিজের রোগের ব্যাপারে সবাইকে জানিয়েছিলেন সেলমা ব্লেয়ার। এরপর থেকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই চলছেন ৪৬ বছর বয়সী এই হলিউড অভিনেত্রী। তাঁকে দেখা যায়নি আর জনসমক্ষে। তবে গত সোমবার রাতে ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’ সাময়িকী আয়োজিত অস্কার–পরবর্তী একটি পার্টিতে তাঁকে দেখা গেল প্রথমবারের মতো। ছড়ির ওপর ভর করে পা টেনে টেনে লাল গালিচায় হাঁটতে দেখা গেছে তাঁকে। এমনকি একসময় আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে কাঁদতেও দেখা যায় সেলমা ব্লেয়ারকে।
গত বছর সেলমা ব্লেয়ারের শরীরে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস রোগ ধরা পড়ে। এই রোগের প্রভাবে সেলমার শরীরের বিভিন্ন অংশ অসাড় হতে থাকে। তাঁর গলায় কথা বেঁধে যেতে শুরু করে, পায়ের মাংসপেশির কিছু অংশও অসাড় হয়ে যায়। এই রোগ প্রভাব ফেলে সেলমার স্নায়ু, মেরুদণ্ড ও মস্তিষ্কে। চিকিৎসকেরা সেলমাকে হুঁশিয়ারি দেন নিবিড় তত্ত্বাবধানে ও পরিচর্যায় না থাকলে এই রোগ একসময় তাঁকে নিয়ে যাবে প্যারালাইসিসের দিকে। তবে প্রায় এক বছরের চিকিৎসার পর সেলমা শোনাচ্ছেন আশার কথা। ভ্যানিটি ফেয়ার–এর পার্টির পর তাঁর দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে সেলমা বলেন, ‘এখনো আমি চিকিৎসা চালিয়ে গেলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশা করতে পারি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সবকিছু মেনে সুস্থ জীবন যাপন করলে আমার অসাড়তা আর বাড়বে না। ৯০ ভাগ নিশ্চয়তা তাঁরা দিতে পারবেন।’
রোগ নির্ণয়ের পর সেলমা ব্লেয়ারের প্রথম লাল গালিচায় হাঁটা নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগপ্রবণ পোস্ট দিয়েছেন আলোকচিত্রী মাইক কপোলা। তিনি লেখেন, ‘কোনো তারকাবহুল পার্টির লাল গালিচায় এমন মানবিক মুহূর্ত আমি এর আগে দেখিনি। সেলমা একটা রঙিন গাউন আর কালো ছড়ি হাতে নিয়ে আরেকজনের সাহায্যে হেঁটে আসছিলেন। ক্যামেরাগুলো তাঁর দিকে তাক করা। পা টেনে হাঁটতে গিয়ে হঠাৎই কেঁদে ফেলেন তিনি। তখন সব আলোকচিত্রী ক্যামেরা নামিয়ে করতালি দিয়ে সেলমাকে সাহস জোগাতে শুরু করেন। আর সেলমাও সাহস পেয়ে চোখ মুছে আবারও ক্যামেরার দিকে ফিরে তাকান।’ গুড মর্নিং আমেরিকা।