সংক্ষেপে জেনে রাখি - আইসোটোপ, আয়নিকরণ শক্তি, ইলেকট্রন আসক্তি, অরবিটাল সংকরণ

আইসোটোপ

যেসব পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন হওয়ায় ভর সংখ্যা অসমান, তাদের একে অপরের আইসোটোপ বলে। এদের পারমাণবিক সংখ্যা একই, কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন হয়। যেমন হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপ রয়েছে। যথা হাইড্রোজেন, ডিউটেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম।

আয়নিকরণ শক্তি

গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো মৌলের ১ মোল বিচ্ছিন্ন পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তর থেকে ১ মোল ইলেকট্রন অপসারণ করে একে একক ধনাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন পড়ে, তাকে সেই মৌলের আয়নিকরণ শক্তি বলা হয়।

ইলেকট্রন আসক্তি

অসীম দূরত্ব থেকে গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো মৌলের এক মোল পরমাণুর সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে ১ মোল ইলেকট্রন যোগে একে একক ঋণাত্মক আয়নে পরিণত করতে নির্গত শক্তি হচ্ছে ইলেকট্রন আসক্তি। উপরের ছবিতে দেখা যায়, পর্যায় সারণির যতই বাম থেকে ডানে যাওয়া যায় এবং নিচ থেকে উপরের দিকে যাওয়া যায় ততই ইলেকট্রন আসক্তি বাড়তে থাকে। ইলেকট্রন আসক্তিকে ইংরেজিতে বলে Electron Affinity.

অরবিটাল সংকরণ

বিক্রিয়াকালে কোনো পরমাণুর বা আয়নের যোজ্যতা স্তরের বিভিন্ন অরবিটাল পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে সমান সংখ্যক ও সমান শক্তিসম্পন্ন নতুন অরবিটাল সৃষ্টি করে, তাকে অরবিটাল সংকরণ বলে। সাধারণত Be, B, C, N, P, O, S ইত্যাদি মৌলের পরমাণুর অরবিটাল সংকরণ ঘটে।

আরও পড়ুন