বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ
৩. প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন কীভাবে শহিদ হয়েছিলেন?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ। মুক্তিযোদ্ধাদের জাহাজ বিএনএস পলাশ এবং বিএনএস পদ্মা মোংলাবন্দর দখল করে নেয়। এবার তাঁদের লক্ষ্য খুলনা দখল করা। ভৈরব নদী বেয়ে তাঁরা ধেয়ে আসছিলেন খুলনার দিকে। জাহাজ দুটি খুলনার কাছাকাছি আসতেই একটা বোমারু বিমান থেকে জাহাজ দুটির ওপর বোমা এসে পড়ল। রুহুল আমিন বিএনএস পলাশের ইঞ্জিন রুমে ছিলেন। বোমা ইঞ্জিন রুমের ওপর পড়ায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে আগুন ধরে গিয়েছিল বিএনএস পলাশে। রুহুল আমিনের ডান হাতটি উড়ে গেলেও আহত অবস্থায় ঝাঁপ দিয়ে নদী সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। বোমার আঘাত থেকে রক্ষা পেলেও রাজাকারদের হাতে নির্মমভাবে মৃত্যু হলো তাঁর। এভাবে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে রাজাকারদের হাতে তিনি শহিদ হন।
৪. প্রশ্ন: গল্প থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় বীর যোদ্ধাদের সম্পর্কে যা জেনেছ, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: গল্প থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় বীর যোদ্ধাদের দেশপ্রেম, অসীম সাহস, বীরত্ব ও আত্মত্যাগের গৌরব সম্পর্কে আমরা জেনেছি। নিজের জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করে বীর যোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন। শত্রু সেনাদের ঘায়েল করে মুক্তির রক্তিম সূর্য ছিনিয়ে এনেছেন। বীর যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা। জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে বীর যোদ্ধারা সর্বাত্মক যুদ্ধে শত্রু সেনাদের পরাভূত করে জয়ী বাহিনী হিসেবে বয়ে এনেছেন অসীম গৌরব। এই বীরদের পূতপবিত্র রক্তস্রোতের বিনিময়ে বীরের জাতি হিসেবে
আমরা বিশ্বসভায় স্থান করে নিয়েছি। নূর মোহাম্মদ শেখ, মুন্সী আবদুর রউফ, মোহাম্মদ রুহুল আমিন শ্রেষ্ঠ বীরের পরিচয় দিয়ে সম্মুখযুদ্ধে শহিদ হন। দেশের এ বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমরা গর্বিত।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা