সংক্ষেপে জেনে রাখি - সমাক্ষরেখা, প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র, পরোক্ষ গণতন্ত্র, সিসমিক রিস্কজোন
সমাক্ষরেখা
গোলাকার পৃথিবীর কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণ ৩৬০°। এই কোণকে ডিগ্রি (°), মিনিট (') ও সেকেন্ডে ('') বিভক্ত করা হয়। নিরক্ষরেখা থেকে প্রতিটি মেরুর কৌণিক দূরত্ব ৯০°। এই কোণকে ডিগ্রি ও মিনিটে ভাগ করে নিরক্ষরেখার সমান্তরাল যেসব রেখা কল্পনা করা হয়, তাকে সমাক্ষরেখা বলে।
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র
যে শাসনব্যবস্থায় নাগরিকেরা প্রত্যক্ষভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন, তাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলে। প্রাচীন গ্রিসে এই প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল। তখন নগররাষ্ট্রের সব নাগরিক কোনো বিশেষ স্থানে জমায়েত হয়ে আইন প্রণয়ন, কর ধার্য, কর্মচারী নিয়োগ, বিচারকার্য পরিচালনা ইত্যাদি কাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন।
পরোক্ষ গণতন্ত্র
পরোক্ষ গণতন্ত্র বলতে সাধারণত নাগরিকদের সরাসরি অংশগ্রহণ না করে প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করার পদ্ধতিকে বোঝায়। পরোক্ষ গণতন্ত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই আইন প্রণয়নসহ শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে পরোক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত।
সিসমিক রিস্কজোন
১৯৮৯ সালে ফরাসি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশের ভূমিকম্প বলয়সংবলিত একটি মানচিত্র তৈরি করে। তাঁরা এখানে তিনটি বলয় দেখিয়েছেন। প্রথম বলয়কে প্রলয়ংকরী, দ্বিতীয় বলয়কে বিপজ্জনক এবং তৃতীয় বলয়কে কম বিপজ্জনক বলে বর্ণনা করেছেন। এসব বলয়কে বলা হয় সিসমিক রিস্কজোন