তৃতীয় অধ্যায়
বিপরীত শব্দ:
এক জোড়া শব্দ যখন পরস্পর বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে, তখন একটিকে অন্যটির বিপরীত শব্দ বলে। যেমন: ‘দিন’ ও ‘রাত’। এখানে দিনের বিপরীত শব্দ রাত এবং রাতের বিপরীত শব্দ দিন। একইভাবে উঁচু ও নিচু, ভালো ও মন্দ, শক্ত ও নরম—এগুলো পরস্পর বিপরীত শব্দ।
বিপরীত শব্দের একটি হ্যাঁ-বাচক হলে অন্যটি না-বাচক হয়। যেমন ‘সুস্থ’ ও ‘অসুস্থ’ শব্দজোড়ার মধ্যে সুস্থ হ্যাঁ–বাচক এবং অসুস্থ না-বাচক। এ জন্য বিপরীত শব্দের সঙ্গে না-বাচকতা যুক্ত করে বাক্যের অর্থ ঠিক রাখা যায়। যেমন লোকটি সুস্থ। এখানে অর্থ ঠিক রেখে বাক্যটি এভাবেও বলা যায়: লোকটি অসুস্থ নয়।
বাক্যের অর্থ ঠিক রেখে বিপরীত শব্দ বসাই:
প্রদত্ত বাক্য: এই গ্লাসের পানি ঠান্ডা।
উত্তর: এই গ্লাসের পানি গরম নয়।
প্রদত্ত বাক্য: তিনি শক্ত মনের মানুষ নন।
উত্তর: তিনি নরম মনের মানুষ।
প্রদত্ত বাক্য: কথাটি সত্য নয়।
উত্তর: কথাটি মিথ্যা।
প্রদত্ত বাক্য: নতুন রাস্তাটি অনেক সরু।
উত্তর: নতুন রাস্তাটি অনেক চওড়া নয়।
প্রদত্ত বাক্য: এ আয়নাতে সব ঝাপসা দেখা যায়।
উত্তর: এ আয়নাতে সব স্পষ্ট দেখা যায় না।
প্রদত্ত বাক্য: কাজটি যৌথভাবে করো।
উত্তর: কাজটি এককভাবে করো না।
প্রদত্ত বাক্য: কাল দিনের বেলায় এসো।
উত্তর: কাল রাতের বেলায় এসো না।
প্রদত্ত বাক্য: লোকটি কৃপণ।
উত্তর: লোকটি দানশীল নন।
প্রদত্ত বাক্য: টেবিলে বইগুলো গোছানো আছে।
উত্তর: টেবিলে বইগুলো এলোমেলো আছে।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা